বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আটককৃত চোরকে ছেড়ে দেওয়ার দুই ঘন্টাপর সাংবাদিকদের তোপের মুখে পূণরায় গ্রেফতার


পলাশ প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অবস্থিত ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দীর্ঘদিন যাবৎ ঘটে যাচ্ছে ছোট বড় অনেক চুরি। নিরাপত্তা কর্মীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে প্রতিনয়ত লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চোর চক্র। আর এই চক্রের অধিকাংশই হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন ঠিকাদারদের কর্মরত শ্রমীকরা।
কাজের ফাঁকে নিরাপত্তা কর্মীদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বের করে নিচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মুল্যমান যন্ত্রপাতি। সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার  দুপরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অয়েল ফ্যাসালিটি নামক স্থানে ৮ ইঞ্চি প্রসস্ত ও ২ ফুট লম্বা দুটি তামার ক্যাবল চুরি করার সময় দুলাল ও অলিউল্লাহ নামে দুই জনকে আটক করে কেন্দ্রের কয়েকজন আনসার সদস্য। জানা যায়, আটককৃত দুলাল কেন্দ্রের চায়না প্রজেক্টের একজন ঠিকাদার সদস্য। অপরদিকে অলিউল্লাহ ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকার আবদুল করিম মিয়ার ছেলে । সে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন টেন্ডারের মালামাল ট্রাকে আনা নেওয়া করতো। এদিকে আনারস সদস্যদের পক্ষ থেকে চুরি হওয়া মালামাল সহ আটককৃত দুই জনকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্যাম্প পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে, ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল দাস টাকার বিনীময়ে গোপনে দুলাল নামের একজনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিমল দাস কোন জবাব এবং আটককৃত আসামীর উপস্থিথি দেখাতে না পেরে বিষয়টি প্রকাশ না করতে স্থানীয় সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে ক্যাম্পের মানিক নামে এক পুলিশ কনেস্টবলকে দিয়ে সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে ক্যাম্প থেকে বের করে দিতে চায়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের তোপের মুখে ছেড়ে দেওয়ার ২ঘন্টা পর পূণরায় তাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বরত এডি (নিরাপত্তা) আলতাফ হোসেন জানান,  আমরা চুরির মালামাল সহ দুই জনকে আটক করে ক্যাম্প পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। তবে কি কারণে একজনকে রেখে অন্য জনকে ছেড়ে দিয়েছিল তা আমাদের জানা নেই।
এবিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে না পেয়ে সহকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ক্যাম্প পুলিশ প্রথমে একজন কে আটকের কথা বলে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে দুই জন আটকের বিষয় জানতে পেরে ক্যাম্পের অফিসারকে চাঁপ প্রয়োগ করলে  ছেড়ে দেওয়া আসামীকে  পূণরায় আটক করে নিয়ে আসেন। বিষয়টি থানার ওসি স্যারকে জানানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন