মেয়েরা বেশীরভাগ
সময়ই মায়ের মত হয়। মায়ের গুণ, দোষ, কথা বলার ধরণ এমনকি হতাশাও মেয়ে
সন্তানের উপর প্রভাব বিস্তার করে। মায়ের সাথে সখ্যতাও বেশি থাকে মেয়েদের।
বিষয়টি এখন শুধু কথার কথাই নয়, প্রমাণিত গবেষণায়ও। আসুন জেনে নেই মজার সেই
গবেষণার ফলাফল।
সানফ্রানসিসকোর ক্যালিফোর্নিয়া
বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে দেখেছেন শারীরিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় কিভাবে
কন্যাশিশু জন্মগত ভাবেই হয় মায়ের মত! গবেষণায় দেখা যায়, মস্তিষ্কের
কর্টিকলিম্বিক সিস্টেম যা আমাদের আবেগ, প্রত্যাশা, হতাশাকে নিয়ন্ত্রণ করে
তা মেয়েদের তাদের মায়ের সাথে সম্পৃক্ত। মায়ের ছেলের সাথে বা বাবার মেয়ের
সাথে নয়। এই পরীক্ষাটি চালানো হয় ৩৫ টি সুস্থ পরিবারের উপর। গবেষণাটি
করেছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসরফিউমিকো হফট এবং
তাঁর দল।
গবেষণায় সকল পরিবারের প্রতিটি সদস্যের
মস্তিষ্কের এমআরআই টেস্ট করা হয়। তাঁর আগে জেনে নেওয়া হয় পরিবারের কারো
বিষন্নতা বা এমন সমস্যা আছে কিনা। গবেষণায় দেখা যায়, চিন্তার চেয়েও জটিল
মানুষের মস্তিষ্কের বিন্যাস। তাই হফটকে অনেক পরিশ্রম করতে হল। মানুষের
শারীরবৃত্তীয় প্রতিটি বিষয়কে তিনি যুক্ত করলেন। পরীক্ষা করলেন মস্তিষ্কের
সমস্ত সংযোগ।
অবশেষে, গবেষণায় সফল হলেন হফট এবং তার
দল। তারা দেখলেন, সকল পরিবারেই মেয়ে সন্তানেরা মায়ের অধিকাংশ বৈশিষ্ট্য
নিয়ে বেড়ে উঠছে। কম বেশী সকল মেয়েরাই মায়ের শারীরিক, মানসিক বৈশিষ্ট্য পেয়ে
থাকে এবং তা পরিবারের অন্যদের থেকে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যের তুলনায় অনেক বেশি।
তাই, মেয়েরা মায়ের মত, এটি আর এখন শুধু আমাদের ধারনা নয়। এটি বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরীক্ষিত সত্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন