![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjeg3VXEWuj6hyFMDrVxawb5QbNN_88LA4HSgw46cQ1dQvnXwOB2kl1AT7as4zBVcFMQHPFgihOyGay0wmd4IPh8NaYgsjcrWo2lX2SkEGqpqnfAl5LynZDN0WjLFY2sg5n5oKdadlCfHs/s320/2016_06_16_14_58_29_c9rNVmhcy954FUiRFOhy43jKH114Xl_original.jpg)
বৃহস্পতিবার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের
বিচারক কেএম সামছুল আলম শুনানি শেষে এই জামিন মঞ্জুর করেন। শুনানিকালে
আদালতে মাহিয়া মাহির পিতা আবু বকর সিদ্দিক এবং মা দিলরুবা ইয়াছমিন ছবি
আদালত উপস্থিত ছিলেন।
তারা আদালতে হলফনামার মাধ্যমে তাদের জামিনে আপত্তি নেই মর্মে উল্লেখ করেন। তবে মাহিয়া মাহি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
শাওনের আইনজীবী মো. বেলাল হোসেন বলেন,
‘মাহিয়া মাহির বাবা-মা জামিনে আপত্তি নেই মর্মে হলফনামা দিয়েছিলেন। আর আমরা
মাহিয়া মাহির সঙ্গে শাওনের বিয়ের কাগজপত্র আদালতে দেখিয়ে জামিন চেয়েছি,
আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।’
গত ৩১ মে ঢাকা সিএমএম আদালত এ আসামির
জামিন আবেদন নাকচ করেন। এর আগে গত ২৭ মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায়
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মাহিয়া মাহি এই মামলাটি করেন। এরপর গত ২৮ মে গ্রেপ্তার
হয় শাওন।
মামলায় বলা হয়, গত ২৫ মে তার (মাহিয়া
মাহির) বিয়ে হয়। গত ২৭ মে তার বন্ধু আসামি শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে তার কিছু
ছবি কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ
অবস্থায় দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট ও তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে তারা এসব
করেছেন অভিযোগ করে মামলা করেন মাহি। শাহরিয়ার ছাড়াও তার (শাহরিয়ার) বন্ধু
হাসান, আলামিন, খাদেমুল ও শাহরিয়ারের খালাতো ভাই রেজওয়ান এ ঘটনায় জড়িত বলে
মাহির ধারনা।
সূত্র জানায়, নায়িকা মাহির সঙ্গে
স্কুলজীবন থেকে শাওনের পরিচয়। তারা উত্তরায় একই স্কুলে লেখাপড়া করেন। মাহির
সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরেই একসময় তাদের মধ্যে প্রেম হয়। দুজনের মধ্যে
সে সময় অন্তরঙ্গ সম্পর্কও ছিল। গত ২৫ মে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী
এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ অপুর সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। এতে শাওন ক্ষুব্ধ
হয়ে মাহিকে স্ত্রী দাবি করে তার সঙ্গে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন