রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

বেলাবতে গাভী পালন করে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে অনেক পরিবারের

একসময় বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হবার অভিলাষে ৪টি গাভী দিয়ে শুরু করে বেলাব উপজেলার পোড়াদিয়া গ্রামের শিক্ষিত বেকার বাদল মিয়া। নিজের অদম্য ইচ্ছা আর পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে কয়েকটি গাভী দিয়ে প্রথম যাত্রা শুরু হয় তার। বর্তমানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৪০টি গাভী রয়েছে তার। এরই মধ্যে ৩০টি গাভী দুধ দেয়। দুধ বিক্রি করে যা আয় হয়। তা দিয়ে পরিচর্যা কারী, পশুদের খাবার এবং ঔষুধের খরচ বাদ দিয়ে তার পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলছে দিন। তাছাড়া বাদল মিয়ার অধীনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা রাম ছাগল যার প্রতিটির
মূল্য ২০-২৫ হাজার টাকা। বাদল মিয়া গ্রামীণ দর্পণকে জানান, আমাদের নরসিংদী জেলায় রয়েছে অনেক বেকার যুবক। তারা যদি নিজ উদ্যোগে স্বল্প থেকে গাভী পালন শুরু করে তাহলে কয়েক বছরেই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং স্বাচ্ছন্দ ফিরে পেতে পারে। তবে বাদল মিয়া বেলাব উপজেলা পশু কর্মকর্তার সহযোগিতা চেয়েও সাড়া পান নি বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন পশু কর্মকর্তা যদি আমাকে সহযোগিতা করতো তাহলে আরো সুফল বয়ে অনতে পারতাম।
অন্যদিকে মনোহরদী উপজেলার আকাননগর গ্রামের সাইদুর রহমান আফ্রাদ ও মোরশেদ আফ্রাদ দুই ভাই অনেক সময় চাকুরির পিছনে ঘুরে করে কোন ফল পায়নি। মোরশেদ আফ্রাদ পরে দুই ভাই মিলে প্রথমে স্বল্প পুজিঁ দিয়ে শুরু করে মাছের চাষ। ধীরে ধীরে সফলতা পেতে শুরু করে তারা। গত দুই বছর আগে তিনটি গাভী দিয়ে শুরু হয় গাভী পালন যাত্রা। বর্তমানে তাদের খামারে রয়েছে প্রায় ৩০টির মতো অস্ট্রলিয়া জাতের গাভী। এতে প্রতিদিন দুধ বিক্রি করে সব কিছু মিলিয়ে স্বাচ্ছন্দে চলছে তাদের দিন। সাইদুর রহমান দর্পণকে বলেন, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে দুবছর আগে তিনটি গাভী দিয়ে শুরু করে তাদের যাত্রা। বর্তমানে তাদের ১৭টি গাভী আছে। তারা মনে করেন, যেসব বেকার যুবকরা লেখা পড়া শিখে আড্ডা এবং নেশার জগতে যেতে ধাবিত হচ্ছে। তাদেরকে সনাক্ত করে আমাদের মতো পশু বা মৎস্য পালনে উৎসাহ প্রদান করে স্বল্প সুদে লোন দিয়ে কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দিলে তারা যেমন স্বাচ্ছন্দে চলতে পারবে তেমনি দুধের চাহিদা দেশে মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে সরকার ও লাভবান হতে পারে। তাছাড়া একই গ্রামের মহিলাদের মধ্যে গৃহিণী জাহানারা স্বামীর পাশাপাশি গাভীর দুধ বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছে। এবং সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। জাহনারা বলেন, আমি একজন গরিব মানুষ বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন তুলে গাভী পালন করে যাচ্ছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন