নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর পলাশে সুদের ৫০০ টাকা না দেওয়ায় মা জমিলা ও মেয়ে জোসনা কে কুপিয়ে আহতর ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনায় খোরশেদ (২৫) নামে একজনকে আটক করেছেন পলাশ থানার পুলিশ । থানা সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুন বিকেল বেলায় পলাশ উপজেলার আর্দশগ্রামে জমিলা বেগমের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে জমিলা বেগম সহ তার মেয়ে জোসনা খোরশেদের হাতের চাপাতির আঘাতে গুরুত্বর আহত হন। এবিষয়ে জমিলা বেগম সাংবাদিকদের জনান, আমি গত ১০/০৪/০১৬ইং তারিখে একই এলাকার খোরশেদের কাছ থেকে মাসে ৫০০ টাকা সুদ হিসেবে ৫০০০ টাকা আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আশি তার পর ২৮/০৪/০১৬ইং তারিখে আমি আসল ৫ হাজার টাকা দিয়ে দেই কিন্তু সুদের ৫০০ টাকা বাকী থাকে । সুদের ৫০০টাকা বাকী থাকার কারণে বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি খোরশেদের গালিগালাজ সহ্য করতে না পে
রে বাকী থাকা সুদের ৫০০টাকা ফেরত দিয়ে দেই। পরভর্তীতে ১৯ জুন বিকেল বেলায় পূর্বের জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খোরশেদ সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে হাতে দা,ছুরি চাপাতি, লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে এতে প্রথম আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি তাদেরকে বাধা ও নিষেধ করতে গেলে আমর চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলাফুলা জখম করে। তখন আমার মেয়ে জোসনা আমাকে বাচানোর জন্য ঘর থেকে বাহির আসলে খোরশেদ আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে জোসনাকে এলোপাতারী কুপিয়ে জখম করে। পরে প্রথমমত আমি সহ আমার মেয়ে জোসনা পলাশ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য থাকি। পরভর্তীতে স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসায় ব্যার্থ হইয়া গতকাল সোমবার পলাশ থানায় আসিয়া ৩ থেকে ৪ জনকে ও অঞাত নামে আরো ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করি। এব্যাপারে পলাশ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্বস উদ্দিন খোরশেদ নামে মামলার ১নং আসামীকে আটক করেছে। আরো যারা এ মামলায় আসামী তাদের কেও আটক করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন