রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

কর্মহীন রয়েছে পলাশ কো-অপারেটিভ জুটমিলের ১২শ শ্রমিক ৪০ বছরের গ্র্যাচুইটি ও প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা এখনো রয়েছে বকেয়া



তাজা খবর প্রতিবেদকঃ
দেশের সূনাম অর্জনকারী নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কো-অপারেটিভ জুটমিলটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কর্মহীন রয়েছে মিলটির প্রায় ১২শ শ্রমিক কর্মচারী। সেই সাথে প্রায় ৪০ বছরের গ্র্যাচুইটি ও প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পাওয়ায় ভবিষৎত জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন এখানকার শ্রমিকরা। জানা যায়, পলাশ কুটিরপাড়া এলাকায় ৬৩ একর জমির উপর নির্মিত পলাশ কো-অপারেটিভ জুট মিলটি উৎপাদনে একসময় র্শীষ অবস্থানে ছিল। কিন্তু অব্যবস্থাপনা ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাতদ্রবের মূল্য
কমে যাওয়ায় মিলটি লোকসানের শিকার হয়। এতে ব্যাংকের কাছে ঋণ নিয়েও সুবিধা করতে পারেনি মিলটি। ফলে ব্যাংকের দেনার মধ্যে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রেখেই ২০১৪ সালে মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেকার হয়ে পড়ে মিলের প্রায় ১৫শ শ্রমিক। পরবর্তীতে কতৃপক্ষ মিলটি চালু করার জন্য একাধিকবার বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির সাথে চুক্তি করলেও কোন সুফল আনতে পারেনি। বারা বার আশা দেখিয়ে মিলটি চালু করতে না পারায় কর্মহীন হতে হয় মিলের ১২শ শ্রমিক কর্মচারীদের। এদিকে শ্রমিকদের চাপের মুখে কতৃপক্ষ কয়েক দাপে বকেয়া বেতন পরিশোধ করলেও প্ররিশোধ হয়নি শ্রমিক কর্মচরীদের ৪০ বছরের গ্র্যাচুইটি ও প্রফিডেন্ট ফান্ডের সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা টাকা। ফলে ভবিষৎত নিয়ে হতাশায় অনেক শ্রমিক রোগে ভূগে মৃত্যুবরণ করেছেন। কেউ বা আবার সং¯^ার বাচাঁতে বিচ্ছিন্ন পেষায় জড়িয়ে পড়েছেন। কো-অপরেটিভ জুটমিলস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, মিল কতৃপক্ষকে অনেকটা চাপের মুখে কয়েক দাপে শ্রমীকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে। কিন্তু ৪০ বছরের জমানো গ্র্যাচুইটি ও প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা একাধিক বার সময় নির্দারন করেও পরিশোধ করেনি। আমাদের পক্ষ থেকে চাপ দিলে মিলের জমি বিক্রি বা সরকারী সহযোগীতার কথা বলে বার বার সময় দিয়ে আসেন। এদিকে মিলটি পূণরায় চালু করার জন্য মালিক পক্ষ মেসার্স আর এম এম ইন্ট্রিগ্রেটেড এ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের নিকট চুক্তিবদ্ধ হয়। মালিক পক্ষ আমাদের জানিয়েছে চুক্তি সাক্ষরের সাথে সাথে শ্রমীকদের ১২ বছরের গ্র্যাচুইটির টাকা ও কর্মরত শ্রমীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজে যোগদান করানো হবে। কিন্তু চুক্তি সাক্ষরের ২ মাস অতিক্রম করলেও এখনো বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি কতৃপক্ষ। এদিকে মিলটি পূণরায় চালুর জন্য বিভিন্ন মেশিনারিজ মেরামতের কাজে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দিলেও কর্মরত শ্রমিকদের কাজে যোগদান করানো হচ্ছে না।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন