অন্তর্বাস পরিধান
করার ব্যাপারে তেমন চিন্তাভাবনা করি না আমরা কেউই। কিন্তু পোশাকের নিচে,
শরীরের সবচাইতে কাছাকাছি থাকা অন্তর্বাসের ওপরে আমাদের সুস্থতা অনেকটাই
নির্ভর করে। আর অন্তর্বাস পরার ভুলের কারণেই বিভিন্নভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি
আমরা। দেখে নিন, এসব ভুলের কারণে আপনিও কি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন?
১) অতিরিক্ত আঁটসাঁট অন্তর্বাস
আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরতেই যে কেবল অস্বস্তি
লাগে তাই নয়, বরং ঘষা লেগে লেগে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া ভ্যাজিনাল
ইরিটেশনও ঘটতে
পারে। মেনোপজের পর ভ্যাজিনাল ওয়াল পুরুত্ব হারায়। ফলে সহজেই
ক্ষতি হতে পারে। এসব কারণে অতিরিক্ত আঁটসাঁট অন্তর্বাস না পরাই ভালো।২) শরীর স্লিম দেখানোর অন্তর্বাস
অনেকেই ভুঁড়ি বা মেদবহুল নিতম্ব ঢাকার
জন্য পরে থাকেন এমন অন্তর্বাস যা এগুলোকে চেপে শরীরকে স্লিম দেখাতে সাহায্য
করে। কিন্তু এগুলো পরে থাকার কারণে শরীরের রক্তচলাচল বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এমনকি স্নায়বিক ক্ষতিও হতে পারে। এগুলো অনেক সময়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে
অবশতাও সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
৩) সিনথেটিক এবং সিল্ক
যে কোনো কাপড়ের তৈরি অন্তর্বাস পরতে পারেন
আপনি কিন্তু আপনার যৌনাঙ্গের সংস্পর্শে যে অংশটি থাকবে তা যেন অবশ্যই সুতি
হয়। সিল্ক এবং সিনথেটিকের অন্তর্বাসের ভেতর বাতাস চলাচল করতে পারে না। এসব
কারণে এসব জায়গা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকার ভয় থাকে। এ থেকে হতে পারে
ব্যাকটেরিয়াল বা ইস্ট ইনফেকশন।
৪) চিকন অন্তর্বাস
আপনার যদি সহজেই ইস্ট ইনফেকশন বা
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে থাকে, তাহলে চিকন অন্তর্বাস এড়িয়ে চলাই ভালো
(যেগুলোকে থং বলা হয়ে থাকে)। এগুলো পড়তে আরাম হলেও পড়ার ব্যাপারে সাবধানতা
অবলম্বন করাই ভালো।
৫) অন্তর্বাস পরে ঘুমানো
অন্তর্বাস পরে ঘুমানোর পেছনে কোনো যুক্তি
নেই। অন্তর্বাস ছাড়া ঘুমানোর ফলে আপনার যৌনাঙ্গে বাতাস চলাচল করতে পারে এবং
কোনো রকমের ইনফেকশনের সম্ভাবনা কমে যায়।
৬) দিনের বেলা অন্তর্বাস না পরা
রাতে অন্তর্বাস না পরা ভালো বলে দিনের
বেলাতেও আবার একই যুক্তি খাটবে না। দিনের বেলায় অনেক নড়াচড়া, হাঁটাহাঁটি
করতে হয় আমাদের। এ সময়ে অন্তর্বাস না পরলে সালোয়ার বা প্যান্টের ঘষা লাগতে
পারে যৌনাঙ্গের স্পর্শকাতর ত্বকে। শুধু তাই নয়, দিনের বেলায় আমরা ঘেমে
থাকলে সেই ঘাম শুষে নিতে পারে অন্তর্বাস। কিন্তু অন্তর্বাস না পরলে সে
জায়গাটা স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকে। এ কারণে দিনের বেলায় অন্তর্বাস পরাটাই
ভালো।
৭) ঘর্মাক্ত অন্তর্বাস
অন্তর্বাস যেহেতু ত্বকের সংস্পর্শে থাকে
সুতরাং এটি সহজে ঘেমে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ঘেমে থাকা অন্তর্বাস
বেশিক্ষণ পরে থাকা উচিৎ নয়। দিনে অন্তত একবার অন্তর্বাস পরিবর্তন করা
উচিৎ। যারা খুব বেশি ঘেমে যান তারা দুইবার করে পরিবর্তন করুন সম্ভব হলে।
প্রিয়
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন