বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬

পলাশে কমছে না মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে খুন-খারাপি সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড




 নিজ¯^ প্রতিনিধঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় কমছে না বেড়েই চলছে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের টপকে অহরহ চালিয়ে যাচ্ছে মদ, গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, বিয়ার সহ বিভিন্ন ভয়ংকর মাদক ব্যবসা। যার ফলে  এলাকায় বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পলাশ উপজেলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীদের বিক্রয় প্রতিনিধি। এর মধ্যে ঘোড়াশালের পোষ্ট অফিস রোড, চরপাড়া, টেঙ্গরপাড়া, খালিসারটেক, মিয়াপাড়া, ষ্টেশন রোড, সহ বেশকয়েকটি এলাকায় মাদকের ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। ঘোড়াশাল পুলিশ ফাঁড়ির নাকের ডগায় অহরহ চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাত্র ৫০ থেকে ৫০০ টাকার ভিতরে খুব সহজেই মিলিয়ে দিচ্ছে মদ, গাজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য। মাঝে মধ্যে পুলিশ কয়েকটি বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাদক সহ আটক করলেও বড় বড় গডফাদাররা রয়েছে ধরাছোয়ার বাহিরে। বরচং মাদকের গডফাদাররা আটককৃতদের জামিনে এনে পুণরায় এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটাচ্ছে। এছাড়া কাকে মেরে কে মাঠ দখল করবে ? কে কোন এরিয়া চালাবে ? কাকে কত দিতে হবে এসব দৌরাত্ম্যের মধ্যে গডফদাররা দিন পার করছে। সম্প্রতী ঘোড়াশালের মাদকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মাদক স¤্রাট মিলন হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়। মিলন মারা যাওয়ারপর ঘোড়াশালবাসী অনেকটা সস্তি ভূগ করলেও মিলন হত্যার পর পুণরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মাদকের আরেক স¤্রাট মোবারক হোসেন ( ফেন্সি মোবারক)। অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘোড়াশালে বড় বড় মাদকের স্পট গুলো রয়েছে মোবারকের নিয়ন্ত্রণে। বর্তমানে তার নিয়ন্ত্রণে ঘোড়াশাল বাজারের ইয়াবা,গাঁজা ব্যবসায়ী আমিন, খালিসারটেক এর ইয়াবা ও ফেন্সি ব্যবসায়ী নাগিন, ইয়াবা ব্যবসায়ী হাতকাটা শরীফ, ঘোড়াশাল টেঙ্গও পাড়ার গাঁজা ও ফেন্সি ব্যবসায়ী কবির , ফেন্সি ব্যবসায়ী ফালু মিয়া, ইয়াবা ব্যবসায়ী মহর আলী,   ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসায়ী আবদুল রউফ, ঘোড়াশাল পোষ্ট অফিস এলাকার ইয়াবা ব্যবসায়ী আরিফ, সবুজ ও নাঈমসহ একাধিক চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী যাদের অধিকাংশই একাধিক মাদক মামলার আসামী। নাম প্রকাশ না করার সত্বে ঘোড়াশালের এক মাদক ব্যবসায়ী জানান, স্থানী নেতাকর্মী সহ পুলিশের  কনস্টেবল থেকে শুরু করে অফিসার পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। আমরা মোবারকের টাকায় ব্যবসা করি। তার ফালু নামে একজন ম্যানেজার আছে তিনি প্রতি মাসে কে কত বিক্রি করছে তার হিসাব রাখে। প্রশাসন সব তারাই ম্যানেজ করে। এব্যাপারে পলাশ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের সাথে কথা বলে তিনি জানান, পলাশ থানার কোন অফিসার মাদক থেকে টাকা নেয় না, মাদক ব্যবসায়ীদের অনেক কেই আমরা দরে মামলা দিয়েছি, যারা পুলিশকে ফাকি দিয়ে মাদকের ব্যবসা করছে তাদেরকে দরে মামলা দেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন