মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০১৬

ধ্বংসের মুখে নরসিংদীর পোল্ট্রি শিল্প১ বছরে পথে বসেছে ৪০ শতাংশ খামারী


নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
পুঁজিবাদী ব্যব¯’ার ফলে ধ্বংসের মুখে পতিত হ”েছ নরসিংদীর পোল্ট্রি শিল্প। গত এক বছরে এ জেলার প্রায় ৪০ শতাংশ পোল্ট্রি খামারী গু

ছিয়ে নিয়েছেন তাদের ব্যবসা। তারা বলছেন মুরগির বা”চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মুরগী পালনই এ অব¯’ার মুল কারন। সেই সাথে খাবার, ঔষধ ও অন্যান্য উৎপাদন সামগ্রীর দাম বেশি ও মানে ভালো না থাকায় লাভের ¯’লে লোকসানের আশংঙ্কা করতে হ”েছ এখানকার ব্যবসায়ীদের। সরে জমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে। গত এক বছরেই পথে বসেছে এ জেলার প্রায় ৪০ শতাংশ পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। তাই ক্রমেই বেকার হ”েছ এ খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও শ্রমিকেরা। এ জেলায় পোল্ট্রি ডিলারদের কাছে এ শিল্পের সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও জেলার সবচেয়ে বেশি পোল্ট্রি খামার ল্য¶ করা যায় রায়পুরা ও বেলাব উপজেলায়। পাশাপাশি শিবপুরসহ পুরো জেলা জুড়েই কমবেশি ব্রয়লার ও লেয়ার পালন করছেন খামারীরা। যা জেলার মাংস ও ডিমের চাহিদা মেটানেরা পাশাপাশি রপ্তানি হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। কিš‘ বর্তমানে এ শিল্পের মানুষেরা প্রায় বেহাল দশায় দিননিপাত করছে। ¯’ানীয় বেলাব উপজেলার আমলাব এলাকার খামারী মো: নুরু মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারই তিনি প্রথম বারের মত লেয়ার মুরগী পালন করছেন। ইতপূর্বে ব্রয়লার মুরগী 

পালন করতেন। স¤প্রতি সেখানে ব্যবসা ভালো না হওয়ায় তিনি লেয়ার মুরগী পালনের সিদ্ধান্ত নেন। কিš‘ এতেও সমস্যা। বর্তমানে খাবার, ঔষধ ও প্রয়োজনীয় উপকরণের অতিরিক্ত দাম থাকায় এখানেও লোকসানের আশঙ্কায় ভূগতে হ”েছ তাকে। সেই সাথে বাজারে যে সকল ঔষধ সামগ্রী পাওয়া যা”েছ তার অধিকাংশই মানে ভালো নয়। ঔষধের ¯’লে রঙের পানি বিক্রির ও অভিযোগ রয়েছে। এমনই অব¯’ায় রয়েছেন এ উপজেলার রওশান আলী, সিরাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরের মত আরো শত পোল্ট্রি ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময় আলোচনার ফলেও কোন প্রকার সহযোগিতা না পেয়ে অনেতটাই হতাশ এখানকার ডিলার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা। এখাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার পাশাপাশি মুরগী উৎপাদনকারী সকল কোম্পানীকে নিয়ন্ত্রনের সরকারের পদ¶েপ গ্রহণের বিকল্প নেই উল্লেখ করে জেলা পোল্ট্রি ডিলার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: ওমর ফারুক মিয়া জানালেন এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সঠিক নীতিমালার পাশাপাশি সরকারের আরো বেশি নজরদারীর প্রয়োজন। তবেই এ জেলার পোল্ট্রি শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতে পারে। পাশাপাশি যারা ¶ুদ্র আকারে এ ব্যবসা পরিচালনা করেন তাদেরকে ঋণের আওতায় আনা জরুরী বলেও মনে করেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন