পাবনায়
নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে হত্যাসহ দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের গুপ্ত হত্যা, মন্দিরে
হামলা, অগ্নিসংযোগ ও অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিকেলে
নরসিংদী শহরের স্বাধীনতা চত্বরে মানববন্ধন করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত শহরের স্বাধীনতা চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শহর পূজা উদযাপন পরিষদ ও শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ মন্দির একাত্মতা প্রকাশ করে।
মানববন্ধনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রঞ্জিত সাহা, সাধারণ সম্পাদক দীপক সাহা, কোষাধ্যক্ষ অখিল দত্ত, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অহিভূষণ চক্রবর্তী, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নারায়ণ সাহা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একটি চক্র বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে একের পর এক সংখ্যালঘু হত্যা করছে। কিন্তু সরকার তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ। তাই বর্তমানে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। যদি সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
নাটোরে খ্রিস্টান দোকানি ও ঝিনাইদহে হিন্দু পুরোহিতকে কুপিয়ে হত্যার রেশ না কাটতেই আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুরের মানসিক হাসপাতালের গেটের কাছে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ সেবাশ্রমের সেবায়েত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে (৬২) কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন