নরসিংদী সংবাদদাতাঃ
উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নরসিংদীর মেঘনা তীরবর্তী চরাঞ্চলে বোরো ধান তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। গত ৩ দিনে মেঘনায় ৬৮ সেমি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় রায়পুরার চানপুর, পাড়াতলী, বাঁশগাড়ী, চরমধুয়া, নিলক্ষা ও শ্রীনগর এলাকার কমবেশী ১০০০ হেক্টর জমির আধাপাকা বোরো ধান, মিষ্টি আলু, বাদাম ক্ষেত এবং মরিচ ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চানপুর এলাকার লোকজন জানিয়েছে এলাকার সদাগরকান্দী, কুড়েরপাড়, মোহিনীপুর, মজিদপুর, সুজাতপুর, কালিকাপুর, বগডহরিয়া, চানপুর ও মাঝেরচর এলাকার আধাকাঁচা আধাপাকা বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অভিজ্ঞ কৃষকরা জানিয়েছে,
পানি ২/১ দিনের ভিতর চলে গেলে ধানের তেমন কিছু ক্ষতি সাধিত হবে না। কিন্তু পানি বেশীদিন স্থায়ী হলে ধান পচে বিনষ্ট হয়ে যাবে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে মেঘনার পানি হ্রাস না পাওয়ায় চাষীরা বাধ্য হয়ে আধাপাকা ধানই কাটা শুরু করেছে। তবে পানির নিচ থেকে ধান কেটে আনা সম্ভব নয় বিধায় শুধু ধানের শীষগুলো কেটে আনছে। এছাড়া পানির চিনে তলিয়ে গেছে প্রায় সমসংখ্যক মিষ্টি আলু, বাদাম ও মরিচ ক্ষেত। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন শাকসবজী, উচ্ছে, গিমি কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, বাঙ্গী, ক্ষিরাই ইত্যাদি। একই অবস্থা দেখা দিয়েছে পাড়াতলী, বাঁশগাড়ী, চরমধুয়া, নিলক্ষা, শ্রীনগর ইত্যাদি অঞ্চলের কমবেশী অর্ধশতাধিক গ্রামের বোরো ধান, বাদাম, মরিচ, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন শাক-সবজীর জমি। সচেতন চাষীরা জানিয়েছে কোন বছরই বৈশাখ মাসের এই সময়ে নদীতে পানি বাড়ার কথা জানা যায়নি। তাছাড়া এত বৃষ্টিপাতও হয়নি। যার ফলে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে চাষীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক লতাফত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মেঘনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কিছু ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পরিপূর্ণ জরিপ রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে এসে পৌছায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় এ পর্যন্ত শতকরা ৫ থেকে ৬ ভাগ বোরো ধান ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া কয়েক দিনের অব্যাহত ঝড়ো হাওয়া, শীলাবৃষ্টি ও বৃষ্টিপাতের ফলে নরসিংদী জেলার মনোহরদী, শিবপুর, বেলাব, রায়পুরা, পলাশ ও নরসিংদী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্রি ২৯ ধানের ক্ষেত মাটিতে নূইয়ে পড়েছে। এছাড়াও স্থানীয় ও হাইব্রিড জাতীয় ধানের কিছু ক্ষেত জমিতে ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে এসব জমি সমূহে উৎপাদন অনেকাংশেই কমে যাবে। এছাড়া সামনে আরো পানি বৃদ্ধি পেলে, কিংবা ঝড়-বৃষ্টি হয়ে নরসিংদীতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবার আশংকা প্রকাশ করেছে চাষীরা।
উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নরসিংদীর মেঘনা তীরবর্তী চরাঞ্চলে বোরো ধান তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। গত ৩ দিনে মেঘনায় ৬৮ সেমি. পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় রায়পুরার চানপুর, পাড়াতলী, বাঁশগাড়ী, চরমধুয়া, নিলক্ষা ও শ্রীনগর এলাকার কমবেশী ১০০০ হেক্টর জমির আধাপাকা বোরো ধান, মিষ্টি আলু, বাদাম ক্ষেত এবং মরিচ ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। চানপুর এলাকার লোকজন জানিয়েছে এলাকার সদাগরকান্দী, কুড়েরপাড়, মোহিনীপুর, মজিদপুর, সুজাতপুর, কালিকাপুর, বগডহরিয়া, চানপুর ও মাঝেরচর এলাকার আধাকাঁচা আধাপাকা বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অভিজ্ঞ কৃষকরা জানিয়েছে,
পানি ২/১ দিনের ভিতর চলে গেলে ধানের তেমন কিছু ক্ষতি সাধিত হবে না। কিন্তু পানি বেশীদিন স্থায়ী হলে ধান পচে বিনষ্ট হয়ে যাবে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে মেঘনার পানি হ্রাস না পাওয়ায় চাষীরা বাধ্য হয়ে আধাপাকা ধানই কাটা শুরু করেছে। তবে পানির নিচ থেকে ধান কেটে আনা সম্ভব নয় বিধায় শুধু ধানের শীষগুলো কেটে আনছে। এছাড়া পানির চিনে তলিয়ে গেছে প্রায় সমসংখ্যক মিষ্টি আলু, বাদাম ও মরিচ ক্ষেত। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন শাকসবজী, উচ্ছে, গিমি কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, বাঙ্গী, ক্ষিরাই ইত্যাদি। একই অবস্থা দেখা দিয়েছে পাড়াতলী, বাঁশগাড়ী, চরমধুয়া, নিলক্ষা, শ্রীনগর ইত্যাদি অঞ্চলের কমবেশী অর্ধশতাধিক গ্রামের বোরো ধান, বাদাম, মরিচ, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন শাক-সবজীর জমি। সচেতন চাষীরা জানিয়েছে কোন বছরই বৈশাখ মাসের এই সময়ে নদীতে পানি বাড়ার কথা জানা যায়নি। তাছাড়া এত বৃষ্টিপাতও হয়নি। যার ফলে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে চাষীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক লতাফত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মেঘনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কিছু ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পরিপূর্ণ জরিপ রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে এসে পৌছায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় এ পর্যন্ত শতকরা ৫ থেকে ৬ ভাগ বোরো ধান ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া কয়েক দিনের অব্যাহত ঝড়ো হাওয়া, শীলাবৃষ্টি ও বৃষ্টিপাতের ফলে নরসিংদী জেলার মনোহরদী, শিবপুর, বেলাব, রায়পুরা, পলাশ ও নরসিংদী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্রি ২৯ ধানের ক্ষেত মাটিতে নূইয়ে পড়েছে। এছাড়াও স্থানীয় ও হাইব্রিড জাতীয় ধানের কিছু ক্ষেত জমিতে ভেঙ্গে পড়েছে। যার ফলে এসব জমি সমূহে উৎপাদন অনেকাংশেই কমে যাবে। এছাড়া সামনে আরো পানি বৃদ্ধি পেলে, কিংবা ঝড়-বৃষ্টি হয়ে নরসিংদীতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবার আশংকা প্রকাশ করেছে চাষীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন