বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৭

বন্ধ হয়ে গেল ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন




পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতাঃ

আবারো বন্ধ হয়ে গেল দেশের বৃহত্তর ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন। গ্রীষ্মকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কারখানায় দুটির গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তে সোমবার রাত থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পেট্টোবাংলা। এরপর থেকে ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশ সার কারখানার অ্যাডমিন সেলিম সহিদী। জানা যায়, গত বছর টানা ৯মাস ঘোড়াশাল ও পলাশ সার কারখানা দুটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পর ডিসেম্বরে উৎপাদনে যায় কারখানা দুটি। গ্যাস সরবরাহের মাত্র ৪ মাসের মাথায় আবারো গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় কারখানা দুটির উৎপাদন।

ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা কর্তৃপ¶ জানান, বিসিআইসি নিয়ন্ত্রণাধীন ঘোড়াশাল সার কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৪২২ টন ও পলাশ সার কারখানার ৩০০ টন । বছরের অধিকাংশ সময় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারখানা দুটিকে ব্যাপক লোকসান ও ¶তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
কারখানার সিবিএ নেতারা জানান, কবে নাগাদ কারখানা দুটিতে গ্যাস সরবরাহ করা হবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি। কারখানা দুটিতে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ করে উৎপাদন শুরু করা না গেলে চলতি বছরের ল¶্যমাত্রা ব্যাহত হবে। ফলে দেশে ইউরিয়া সারের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এ উৎপাদন ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে উচ্চ মূল্যে সার আমদানি করতে হতে পারে। এর ফলে প্রতি টন সার আমদানিতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে।
এ বিষয়ে ঘোড়াশাল সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশলী) আবুল কাসেম ও পলাশ সার কারখানার  ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশলী) এন. এম আব্দুর রহিম বলেন, গ্যাস প্রত্যাহার করে নেওয়া সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে কবে নাগাদ কারখানা পুণরায় গ্যাস সরবরাহ করা হবে তা সঠিক ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন