![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg6HAGi4INRMx6hyphenhyphennPDyJ3mRkFvASWZPIMsUN6S2nuTPcfPoDmWuXaMvC3KJANlQWE0ILkD6-nBlmcU4rWG3xhGhTS6GP1EDLqrIbPejgdhKek4rJhaAtvUkTP2cYu1kEMvfRp5eysku4I/s1600/images.jpg)
আল-আমিন মিয়া, নিজ¯^ প্রতিবেদকঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার জন্য ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের কমিটি। শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে সিসি ক্যামেরার অন্তরভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আল-মুজাহিদ হোসেন তুষারের পক্ষ থেকে বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা
হয়েছে। খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার জীবনে শুনি নাই যে, কোনো বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির নিজ¯^ অর্থায়নে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার জন্য এত কিছু করে। আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি অনেক বড় মনের মানুষ। তিনি বিদ্যালযের সভাপতি হওয়ার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাস এবং ভাল ফলাফলের জন্য নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি ফ্রি নাইট ক্লাস চালু করেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে কোনো শহীদ মিনার ছিল না। তিনি আমাদের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার করে দেন। বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার অন্তরভুক্ত করার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার জানা মতে পলাশ উপজেলার কোনো বিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরার অন্তরভুক্ত করা হয়-নি। আমাদের বিদ্যালয়েই প্রথম বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির নিজ¯^ অর্থায়নে ৫ টি শ্রেণী কক্ষ সহ ৮ টি সিসি ক্যামেরায় বিদ্যালয়কে অন্তরভুক্ত করা হয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি বেড়েছে। এবং চুরি ও ছাত্র-ছাত্রীদের দুষ্টামি অনেক কমে গেছে। ছাত্র-ছাত্রীরা এখন ক্লাসে এসে পড়ার প্রতি মন দেয়। খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আল-মুজাহিদ হোসেন তুষারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার অন্তরভুক্ত করা হয়েছে বিদ্যালয়কে। এ ছাড়া অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আছে যারা সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস করায় না। শুধু বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকরা আড্ডা দিয়ে সময় পার করে। আমি খানেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধি সহ বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সার্বক্ষণিক বিদ্যালয়কে আমার নজরদারীতে রেখেছি। তারই অংশ হিসেবে নিজ অর্থায়নে বিদ্যালয়কে সিসি ক্যামেরার অন্তরভুক্ত করেছি। আমি আশাবাদী পলাশ উপজেলার সকল বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও উপজেলার প্রথম বিদ্যালয় হবে আমাদের বিদ্যালয়। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন