পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর পলাশ ঘোড়াশালে সরকারী জমিতে অবৈধভাবে বর্জ্যশোধনাগার (ইটিপি)নির্মাণ করছে স্যামরি ডাইং ফ্যাক্টরী। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ঘোড়াশাল পৌরএলাকার শীতলক্ষা নদী সংলগ্ন ভূইয়ার ঘাটের জমি অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করছে বর্জ্যশোধনাগার প্রকল্প। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়,ফ্যাক্টরীর উত্তর-পশ্চিমে অবৈধভাবে শীতলক্ষা নদীর তীর ভরাট করে ও ঘাটের জায়গা অধিগ্রহণ করে নির্মিত হচ্ছে ইটিপি। এ বিষয়ে
ভূইয়ার ঘাট বাসিন্দা মন্টু মিয়া জানান, এলাকাটি ভূইয়ার ঘাট নামে পরিচিত । ঘাটের অস্তিত্ব না থাকলে এলাকার নামকরণ এমন হত না। আমার জন্মের পর থেকে এ ঘাটটি দেখে আসছি। ঘাটটি ৬০ ফুটের অধিক প্রশস্ত ছিল। শৈশবে এখানে ফুটবল খেলতাম । এলাকার লোকজন ঘাটে গোসল করতে আসত ও গবাদি পশুকেও গোসল করাত। ঘাটটি সংস্কারের লক্ষ্যে ঘোড়াশাল পৌরসভা ইতিমধ্যে এখানে একটি পাইপ ড্রেন নির্মাণ করছে । যার কাজ বর্তমানে চলমান। স্থানীয়রা আরো জানান,অতীতে এখানে একটি ইরিগেশন পাইপ লাইন ছিল। কালের প্রবাহে দখলধারদের হাতে তা বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে নির্মানাধীণ পাইপ ড্রেনের লেবেল থেকে গা ঘেষে প্রায় ৩০ ফুট গভীর খনন করে ডাইং ফ্যাক্টরীর ইটিপি নির্মাণের কারণে পৌরসভার পাইপ ড্রেনের কাজটি হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র শরীফুল হক জানান, আমি ধারাবাহিক ভাবে পৌর এলাকার সবকটি ঘাট সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসাবে ভূইয়ার ঘাটে পাইপ ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে। ঘাটের জায়গা কেউ জোর পূর্বক দখল করে ইটিপি নির্মাণ করবে তা হবেনা। আমি একাধিক বার বলার পরও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । আমি অচিরেই এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভুমি জরিপ করে ঘাটের সীমানা নির্ধারণ করে দিব। এ বিষয়ে স্যামরি ডাইং ফ্যাক্টরীর জিএম নান্নু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন