বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৭

ঘোড়াশালে কাল বৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শতাধিক ঘরবাড়ি - রিজেন্ট এনার্জি পাওয়া প্লান্টের বিদুৎ উৎপাদন বন্ধ


পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ
পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে শতাধিক বসত বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। এছাড়া ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। গত বুধবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ঝড়ে এসব ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে পৌরবাসী। এছাড়া ঝড় ও বজ্রপাতে পলাশ গড়পাড়া এলাকায় অবস্থিত রিজেন্ট এনার্জি পাওয়ার প্লান্টের বিদুৎ উৎপাদন সহায়ক দুটি এল.এ নামক মেশিন ভেঙে যাওয়ায়
বন্ধ হয়ে যায় প্লান্টের উৎপাদন। ঝড়ের প্লান্টের ভিতর নিরাপত্তা কর্মীদের ঘরের টিন সহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়। প্লান্টের ম্যানেজার আব্দুল গনি জানান, এই প্লান্ট হতে ১০৮ মেঘাওয়ার্ড বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আচৎকা ঝড়ে প্লান্টের বিদুৎ উ’পাদন বন্ধ সহ ব্যাপক ক্ষতি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ঘোড়াশাল পৌরসভার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় বালুচরপাড়া এলাকার রুহুল আমিন, হুসেন মিয়া, মহসিন মিয়া, মাসুদা বেগম, রেহানা বেগম আব্দুল রশিদের বসতঘর ঝড়ের তান্ডবে ভেঙে পড়ে আছে। এছাড়া পলাশ নতুনপাড়া, পাইসকা, টেঙ্গরপাড়া, দক্ষিণ পলাশ, কর্তাতৈল, বাগদী ও কুমারটেক পাড়া গ্রামে শতাধিক বাড়ি ঙেগে যায়। ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, ঝড়ে তাদের ঘরের চাল, আসবাপত্র, ফসলি জমি নষ্ট সহ কয়েক কোটি টাকার মালামল ক্ষতি হয়। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলো পরির্দশন করেন, পলাশ উপজেলা মানবাধিকার সংস্থার সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু ও সাধারণ সম্পাদক নূরে-আলম রনী। তারা সরকারের প্রতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনের দাবি জানায়। পলাশ উপজেলা কৃষি উপফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে পৌরসভার বসতঘর সহ জিনারদী, গজারীয়া ও চরসিন্দুর ইউনিয়নের ফসলি জমি ও গাছগাছালির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে পলাশ উপজেলা পকল্প কর্মকর্তা ফখরুদ্দীন আল রাজি জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে আঘাতগ্রস্থ এলাকা গুলো পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের সরকারি সহযোগীয় করার জন্য তালিকা প্রনয়ন করা হচ্ছে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন