শনিবার, ১৩ মে, ২০১৭

পলাশে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম


বাইজিদ আহম্মেদ, পলাশ সংবাদদাতাঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুরে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটেরা। এবিষয়ে পলাশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এপর্যন্ত অভিযোগক্ত কোনো বখাটেকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। আহত আনোয়ার হোসেন জানান, পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর বাজারে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। স্থানীয় বখাটে মারুফ, টিপু, ইয়াছিন, আনাছসহ প্রায় ৮/১০ যুবক স্কুল কলেজে যাতায়াতের সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছে। এলাকার বেশ কয়েকজন সচেতন অভিভাবক তাদের একাধিকবার নিষেধ করলেও তারা ইভটিজিং থেকে ফিরে
আসেনি। সম্প্রতি আনোয়ার হোসেন ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন এর প্রতিবাদ করে। এরই জেড়ধরে গত ৭ মে চরসিন্দুর গুদারাঘাট দোকান থেকে দৈনন্দিক ব্যবসায়ীক কাজ শেষ করে আনোয়ার হোসেন বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় সুলতানপুর গ্রামের রফিজ উদ্দীনের ছেলে আমীর হোসেন ও তার ভাই মারুফ হোসেনসহ আরো ৩/৪ জন বখাটে পথরোধ করে দা দিয়ে এলাপাথারীভাবে আঘাত করতে থাকে। ঘটনার সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। তার পর ঘটনারস্থল থেকে আনোয়ার হোসেনকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা ¯^াস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এই বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ বখাটেদের কাউকে আটক করতে পারেনি। স্থানীয় সচেতনমহল জানান, চরসিন্দুর বাজারের আশপাশে ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রচুর পরিমাণে শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত কিছু বখাটেরা প্রতিনিয়ত স্কুল কলেজে যাতায়াতের পথে দাড়িয়ে থেকে মেয়েদের বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে। লোক লজ্জার ভয়ে অনেক শিক্ষার্থী মুখ খোলতে রাজি হয়না। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও পরে তাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এই বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন বলে দাবী জানান এলাকাবাসী। এব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ইভটিজিংয়ের বিষয়টি মিথ্যা কথা। আনোয়ার হোসেনের সাথে অভিযোগক্ত ব্যক্তিদের জমি-জামা নিয়ে বিরোধ চলছে। তার-ই জেড়ধরে আনোয়ার হোসেনের উপর হামলা হয়েছে। ওসি আরো বলেন, আমরা এবিষয়ে মামলা নিয়েছি। এবং অভিযোগক্ত আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন