মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০১৭

মনোহরদীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ১৪ দিন পর উদ্ধার


নরসিংদী প্রতিনিধি:
মনোহরদীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে ১৪ দিন পর্যন্ত ধর্ষণ করেছে রফিক (৩৫)। রফিকের বাড়ি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার ইন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে। গত ২৯ মার্চ উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্ষিতা উপজেলার একটি আলিম মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার ১৪ দিন পর তার মা পুলিশের সহায়তা নিয়ে গাজীপুর ইন্দ্রপুর এলাকা হতে ধর্ষিতাকে রফিকের বাড়ি থেকে উদ্বার করে।
জানা যায়, গত ২৯ মার্চ  ধর্ষিতা প্রতিদিনের মতো উপজেলোর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ৪/৫ জন লোক একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে জোরপৃর্বক চোখ ও মুখ বেঁধে গাড়ীতে তুলে নেয়। অপহরণকারীরা ধর্ষিতা (১৭) কে তাদের নিজ এলাকায় নিয়ে যায়। পরে  অপহরণকারী দলের অন্যতম সদস্য মেয়ার উদ্দিন তার এলাকার রফিক নামের দুই বিবাহিতা এক লোকের কাছে মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিক্রি করে দেয়। পরে রফিক তাকে একটি নির্জন ঘরে রেখে ১৪ দিন পর্যন্ত একাধারে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। প্রতিদিন ওই ছাত্রীকে ৩/৪ বার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে আদালতের স্বীকারোক্তিতে জানান ধর্ষিতা। গত ২৭ এপ্রিল নরসিংদীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ রুমানা মিতুর কাছে এক জবানবন্দিতে এসব কথা জানান ধর্ষিতা।

এ ব্যাপারে মনোহরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী ধর্ষিতার মা জানান, মনোহরদী থানায় মামলা হলেও তাতে আমি সন্তুষ্ট নই, কারণ পুলিশ আসামি পক্ষের কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে আমার কথা মতো মামলার এজাহার লিখেনি। আসামিদের পক্ষ নিয়ে মামলার এজাহার লিপিবদ্ধ করেছে পুলিশ। এছাড়াও নরসিংদীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক জবানবন্দিতে ধর্ষিতা বলেন, পুলিশ মিথ্যা বর্ণনা দিয়ে মামলা লিখেছে। আমরা যা বলেছি তা লিখেনি। গত ১৪ মার্চ সকাল ১১ টায় রফিকের বাড়ি থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধারের কয়েকদিন পর ২১ মার্চ আবারো রফিক ধর্ষিতাকে তুলে নিতে বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামবাসি রফিককে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে মনোহরদী থানার উপ-পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, তদন্ত করে মামলার এজাহার লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন