বায়েজিদ আহম্মেদ, পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতাঃ
নরসিংদীর পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর সামসুল হক হত্যা মামলায় একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় দেন। একই সঙ্গে মৃত্যু হওয়ার আগ পর্যন্ত আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা উল্লেখ করেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মইজ উদ্দিনের ছেলে আলেক মিয়া, তার স্ত্রী রূপবান, দুই ছেলে শরীফ ও আরিফ মিয়া, মহব্বত আলী মুন্সির ছেলে আব্দুল গাফফার, সিরাজ মিয়ার ছেলে মারফত আলী, ও মুল্লুক চাঁনের ছেলে তোতা মিয়া।
এছাড়া সামসুল হকের ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অপরাধে অপর পাঁচজনকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। অন্যদিকে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকায় ১৩ জনকে খালাস দেন আদালত।
উল্লেখ যে, ফাসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিগন সংক্রান্ত বিরোধে গত ২০০৯ সালে ৩০ আগস্ট রাতে গালিমপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রি সামসুল হককে তার বাড়ির পাশে একটি জলাশয়ের পাশে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই সময় আসামীগনকে বাধা দিতে গেলে তারা মারাত্মকভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে সামসুল হকের পুত্র জহিরুল হককে। ঘটনার পর নিহত সামসুল হকের স্ত্রী নুরজাহান বাদী হয়ে উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বিচারাধীন এই হত্যা মামলাটি উঠিয়ে নেয়ার জন্য উল্লেখিত আসামীরা সামসুল হকের ছেলে জহিরুল হককে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু জহিরুল মামলা উঠিয়ে নিতে রাজী না হওয়ায় সর্বশেষ গত ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল জহিরুল হক ডাঙ্গা বাজারে একটি বৈশাখী মেলা শেষে তার ছেলে রিয়াদ (৩) বোন মারুফা আক্তার (৬), ভাই সজিবকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীগন জরিুল হককেও কুপিয়ে হত্যা করে। পরবর্তিতে গত ২০১৬ সালের ৩১ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে নিহত জহিরুলের স্ত্রী রুজিনা আক্তার পলাশ থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে দুটি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে উল্লেখিত আসামীগন পলাতাক রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন