শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭

পলাশে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিবহন দিয়ে মাদক ব্যবসা


 খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিবহন দিয়ে মাদক ব্যবসা করা খুবই সহজ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিবহন এবং ড্রাইভারকে পুলিশ বিভাগ কোনো প্রকার সন্দেহ করে না, পরিবহনগুলো তল্লাশিও করে না। তাই এই পরিবহনকে পুঁজি করে মাদক ব্যবসায়িরা খুব সহজ ভাবেই প্রশাসনের চোখের সামনে দিয়ে অহরহ চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা।


পলাশ থানা সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার ভোর রাতে প্রাণ আরএফএল এর রেফ্রিজারেটর ভ্যান গাড়ি দিয়ে ইয়াবার চালান বহনের সময় পলাশ থানার এসআই কামরুজ্জামান ও এসআই আব্বাছ উদ্দিন হাতে-নাতে ৩৫৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ওই গাড়ীটির ড্রাইভার রাসেলকে আটক করেন। এবং রাসেলকে আটক করে পলাশ থানায় এনে জিজ্ঞাসা করলে তার দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ জানতে পারে যে, দীর্ঘদিন যাবত রাসেল ও রাসেলের সহযোগি কাউছার নামে দুই মাদক ব্যবসায়ি পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন স্থানে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের গাড়ীটি দিয়ে ইয়াবার সরবরাহ করে আসছে। এই ঘটনায় রাসেল ও কাউছারকে আসামী করে পলাশ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিবহন রেফ্রিজারেটর ভ্যান গাড়ীটি জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিবহনের ড্রাইভাররা এই পরিবহনকে পুঁজি করে মাদক ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে আসছে। তারা মনে করে, এতো বড় প্রতিষ্ঠানের পরিবহনের গাড়ীগুলো দিয়ে মাদক ব্যবসা করলে পুলিশ বুঝবে না। ওসি আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়িদের চক্রের নাম জানার জন্য আটককৃত ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবসায়ি রাসেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পরিবহন রেফ্রিজারেটর ভ্যান গাড়ীটি দিয়ে মাদক পরিবহনের করণে গাড়ীটিকে জব্দ করে মামলা দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন