নরসিংদীর মনোহরদীতে নিহত নারী পুলিশ সদস্য আয়েশা আক্তারের সন্দেহভাজন খুনি ¯^ামী র“বেল কে হন্য হয়ে খুজছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করতে সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। র“বেল কে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। মামলার তদš— কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক খোকন চন্দ্র সরকারের মোবাইল ফোনে (০১৯২০-২৭২৯২৭) এই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
উলেখ্য, নরসিংদীর মনোহরদীতে কাজী আয়েশা আক্তার নীলা (২২) নামের এক নারী পুলিশ কনষ্টেবলকে শ্বাসরুদ্ব করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আয়েশা হাফিজপুর গ্রামের মো.জালাল উদ্দিন মেয়ে। এ ঘটনায় শ্বশুড়সহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে সাত জনকে আসামী করে মনোহরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের বাবা কাজী মফিজ উদ্দিন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, একই উপজেলার তারাকান্দী গ্রামের জালাল খানের ছেলে র“বেল (২৬) হাফিজপুর গ্রামের কাজী মফিজ উদ্দিনের মেয়ে কাজী আয়েশা আক্তার নীলা (২২) এর সাথে দীর্ঘ দিন প্রেম শেষে পারিবারিকভাবে ইসলামী শরিয়াহ সম্মত বিবাহ হয়। র“বেলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার নীলা ¯^ামীর অনুমতি নিয়ে পুলিশে চাকুরি নেয়। নীলার চাকুরী কাল হয়ে বসে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে। চাকুরী নেয়ার পর থেকেই পুলিশ কন্সষ্টেবল আয়েশা আক্তার নীলাকে চাকুরী ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রায় ¯^ামী র“বেলসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন চাপ দিতে থাকে। আয়েশা চাকুরি ছাড়তে না চাইলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ¶ীপ্ত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বশুড় ও ¯^ামীর বাড়ীর লোকজন মিলে মহিলা পুলিশ কন্সষ্টবল আয়েশা আক্তার নীলাকে ¯^ামীর বসত ঘরে গলায় ওড়না প্যাচিয়ে শ্বাসর“দ্ব করে হত্যা করে। এ ঘটনার পর থেকে ¯^ামী রুবেল মিয়া পলাতক রয়েছে। আয়েশা আক্তার হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানায় পুলিশের কনষ্টেবল পদে কর্মরত ছিল।
গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, নিহত পুলিশ সদস্য আয়েশা আক্তারের সন্দেহভাজন খুনি ¯^ামী র“বেল কে ধরতে বিভিন্ন উপায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে গ্রেফতার করতে সম্ভাব্য স্থান সমূহে অভিযান অব্যাহত আছে। সে খুব চতুর পুলিশের চোখ এড়াতে ছদ্ধবেশে গা ঢাকা দিয়েছে। কোন ব্যাক্তি তার সন্দান পেলে আমাদের কে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সে যেন দেশের বাহিওে যেতে না পাওে সে জন্য সংশিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন