পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতাঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার যৌতুকের জন্য হাবিবা (২২) নামে এক গৃহবধূকে গলায় ফŧাস দিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর হাবিবার স্বামী জহিরুল ইসলাম পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার লাশ রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ হাসপাতাল থেকে হাবিবার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পŧাচজনকে আসামি করে
পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জহিরুল ইসলাম ডাঙ্গার কান্দা পাড়া গ্রামের মোবারক ইসলামের ছেলে ও হাবিবা একই ইউনিয়নের কাজৈর গ্রামের প্রবাসী হাবিবুল্লার মেয়ে।
নিহতের চাচা আতাউল্লাহ জানায়, তিন মাস পূর্বে জহিরুল ইসলামের সাথে হাবিবার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখশান্তির কথা চিন্তা করে তিন লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন বাপের বাড়ি থেকে আরো টাকা এনে দেওয়ার জন্য প্রায় সময় হাবিবাকে শারিরিক নির্যাতন করত। কিছুদিন আগেও ১৫ হাজার টাকা এনে দেওয়ার কথা বলেছিল। টাকা না দেওয়াতে তার শ্বশুড়বাড়ির লোকজন হাবিবাকে পরিকল্পিত ভাবে গলায় ফŧাস দিয়ে হত্যা করে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাতে তাকে হত্যা করে পরে এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাতেই জহিরুল পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা বাদী হয়ে হাবিবার স্বামী, শ্বশুড় শ্বাশুড়ী, দেবর ও ননদকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ নিহতের শ্বাশুড়ী কুলসুম বেগমকে আটক করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন