পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতাঃ
ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি আবাসিক বভনের কেরোসিন তেল ঢেলে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় দেড়মাস অতিবাহিত হলেও এখনো এর রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি থানা পুলিশ। ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও এর সাথে জড়িত ব্যাক্তির সন্ধানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেও কোন সুফল হয়নি। জানা যায়, গত ৯ ও ১০ জুলাই পরপর দুই রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক এলাকার শাপলা ১২ নম্বর
ভবনের নিচতলার মোঃ মফিজুল ইসলামের কক্ষে কে বা কাহারা কেরোসিন তেল ঢেলে অগ্নি সংযোগ করে। এতে ওই কক্ষে থাকা লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়। অগ্নি সংযোগ নিয়ন্ত্রণে পলাশ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম কাজ করে। ক্ষতিগ্রস্থ মফিজুল ইসলাম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যান্টেনেজ সেক্টরে একজন কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত। ঘটনার ১০দিন পূর্বে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যায়। পরবর্তীতে ১৯ জুলাই দেশে ফিরে বিষয়টি সুরাহের জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও পলাশ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের প্রায় দেড়মাস অতিবাহিত হলেও এখনো এর সাথে জড়িত ব্যাক্তির সন্ধান না মেলায় হতাগ্রস্ত হয়ে পড়েন ক্ষতিগ্রস্ত মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, দুষ্কৃতকারীরা ইচ্ছে করে আমার অনুপস্থিতিতে আমার রোমে কয়েক দফা অগ্নি সংযোগ করে। এতে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। ঘটনার এতাদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ তাদের নামটাও জানতে পারেনি। এঘটনার পর থেকে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আজারুল হক জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনো তদন্তের কাজ চলছে। খুব শিগরিই এর সাথে জড়িতদের সন্ধান পাওয়া যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন