পলাশ সংবাদদাতাঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় শীতলক্ষা নদী দখল ও দুষণে বিরুদ্ধে অব্যাহৃত আন্দোলন করায় সৈয়দ মাহাবুব নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোম্পানির গাড়ির মালামাল লুটপাটের একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে প্রান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। সৈয়দ মাহাবুব বিজয় টিভির পলাশ উপজেলা প্রতিনিধি ও সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা নামক একটি ম্যাগাজিংএর নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করেন, প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সিকিউরিটি বিভাগের সহকারী সুপারভাইজার মোঃ ইদ্রিস আলী। পলাশ থানা মামলা নং ২৬। তারিখ ২৭/০৪/২০১৭ ইং।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রাণ আর এফএলের দুটি কভার ভ্যান নাটোর থেকে মাল নিয়ে পলাশের কোম্পানিতে আসার পথে ঘোড়াশাল পোষ্ট অফিস গলির মাথায় পৌছালে সাংবাদিক মাহাবুব ও তার সঙ্গি মাহাবুব আলম (বাবু) তাদের পথ রোধ করে গাড়িতে থাকা ড্রাইভারদের মারদর করে গাড়িতে হামলা চালায়। এতে গাড়ির প্রায় ২২ হাজার টাকা ক্ষতি হয়। এছাড়া গাড়িতে থাকা কোম্পানির ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মাল লুট করে নিয়ে যায়।
মামলার বিষয়ে সাংবাদিক মাহাবুব জানান, এটি আমার বিরুদ্ধে প্রাণ কোম্পানীর একটি ষড়যন্ত্রমুলক মামলা। এ রকম একটি মামলা আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে তা আমি নিজেও জানতাম না। পড়ে আমার এক পরিচিত অ্যাডভোকেটের মাধ্যমে তা জানতে পারি। আমি বাচাও শীতলক্ষা নদী আন্দোলন নামে একটি সংঘঠনের ব্যানারে দীর্ঘদিন যাবৎ শীতলক্ষা নদী দখল ও দূষণের জন্য পলাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। যার ভিতর প্রাণ কোম্পানিও রয়েছে। তারা আন্দোলনকে প্রতিহত করতে পরিকল্পিত ভাবে আমার নামে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
এদিকে সাংবাদিক মাহাবুবের নামে মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পলাশ উপজেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম শফি জানান, মাহাবুব শীতলক্ষা নদী নিয়ে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেছে। প্রাণ কোম্পানি উদ্দেশ্য প্রনীত ভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা কোম্পানীর ষড়ষন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলার দ্রুত প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি।
পলাশ উপজেলা সংবাদ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নূরে- আলম রনী জানান, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এরকম একটি মিথ্যা মামলা দায়ের খুবই দুঃখ জনক। অভিলম্বে ষড়যন্ত্রমুলক এই মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবীও জানান তিনি।
এব্যাপারে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এডমিন কামাল আহম্মেদ জানান, মামলাটি হেড অফিসের সিদ্ধান্তে করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার মিথ্যার আশ্রয় নেয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন