পলাশ প্রতিনিধিঃ
সরকার আমার পুলিশ আমার ক্ষমতা আমার আমাকে ঠেকায় কে? এই মনোবল নিয়ে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ওমর ফারুক নামে এক মদক ব্যবসায়ী প্রকাশে চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট ইয়াবার ব্যবসা। যার ভয়াবহ ছোবলের শিকার হচ্ছে যুব ও তরুণ সমাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ ওয়ার্ডের এক যুবলীগ নেতা বলেন, আমাকেও বলেছিল দল করে কি পাবি? দলকে পুজি করে ইয়াবা পরিবহন করা খুব সহজ এবং এটাকে বেছে নিয়ে রাতারাতি টাকা কামানোর মন্ত্র হিসেবে নে। কোন সমস্যা হবে না কারণ সরকার আমাদের পুলিশ আমাদের আমাদেরকে ঠেকাবে কে? আরে বেটা এত চিন্তা করছত কেন? ৬ মাস লুকিয়ে ইয়াবার ব্যবসা করার পর যদি পুলিশেও ধরে আদালতে পাঠায় তার পরেও তো ভালো কারণ এই ৬ মাসে ইয়াবার ব্যবসা করে যা পাবি তাতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করে আদালত থেকে চলে আসবি এটা কোন বিষয়ই না। তবে ঐ যুবলীগ নেতা কথাগুলো না শুনলেও ফারুকের ফাঁদে পা দিয়েছে আমিনুল হক, মোরসেদ মিয়াসহ আরো অনেকেই। এসব বিষয়ে ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল মিয়া বলেন, আমি বিষয়গুলো শুনেছি এবং কয়েক বার তাদেরকে ইয়াবা বিক্রয় না কারার জন্য বাঁধা দিয়েছি কিন্তু ওরা আমার বাঁধা মানেনি তাই বিষয়গুলো পলাশ থানায় জানিয়েছি । এদিকে গজারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ইফতি জানান, আমরা মাদকের বিরুদ্ধে আছি এবং আমি আমার ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে অনেক বার মাদক ব্যবসায়ীদেরকে বাঁধা দিয়েছে শুধু তাই নয় ইয়াবা সেবনকারীদেরকে মারধর দিয়েছি। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা কিছুতেই ভয় পায় না পুলিশ যদি আরো বেশি ওয়ার্ডগুলোতে অভিযান চালায় এবং ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরকে আটক করে, তবে মনে হয় আমাদের ইউনিয়নগুলোতে মাদক ব্যবসা কমে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন