মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬

পলাশে বিধবাকে পিটিয়ে বাড়িঘর জমিজামা দখল করে ভুমিদস্যুরা


জাহিদ হোসেন, ক্রাইম নিউজ ঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড খানেপুর গ্রামে জুবেদা খাতুন নামে এক বিধাব মহিলার বসতঘরে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করে দখল করে নিয়েগেছে ভুমিদস্যুরা। এসময় বসতঘর রক্ষা করতে গিয়ে জুবেদা খাতুন ও তার ছেলে আমির হোসেনকে এলোপাথারী মারধর করে। এ ঘটনায় অসহায় জুবেদা খাতুন পলাশ থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নাম উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন, পলাশ খানেপুর
গ্রামের সামসুজ্জামান, ওসমান , আবুল কাসেম, দুধ মেহের, সজ্বল, জাকারিয়া, ¯^জন। জুবেদা খাতুন জানান, তার ¯^ামী তারা গাজী মৃত্যুর পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের বসতভিটা জোর পূর্বক দখল করার জন্য পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন মামলা, হামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে ভুমিদস্যু সামসুজ্জামান। গত ৭ তারিখ শুক্রবার বিকেলে সামসুজ্জামান দা, চাপাতি ও পিস্তলসহ সন্ত্রাসী বাহিনীদের সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে তারা আমাকে এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে এবং আমার শাড়ীর আচঁল দিয়ে গলায় পেচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আমার ছেলে আমির হোসেন আমাকে বাঁচাতে আসলে তারা তাকেও এলোপাথারী মারপিট করে জখম করে। শুধু তাই নয় এলোপাথারী পিটিয়ে জখম অবস্থায় আমাদেরকে বসত বাড়ি থেকে বাহির করে দিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে দেয়। তারা আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে প্রায় ৭ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ করেন। এদিকে এ ঘটনায় অসহায় জুবেদা খাতুন ভুমিদস্যুদের ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আশ্রয়হীন ভাবে বিভিন্ন আতœীয় ¯^জনদের বাড়ীতে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
এসব বিষয়ে পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা ¯^ীকার করে বলেন, সামসুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবৎ বিধবার পরিবারের উপর অন্যায় ভাবে অত্যাচার করে আসছে। এব্যাপারে পলাশ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান,বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানার সহকারী অফিসার এসআই গোলাম মোস্তফাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন