বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১৬

¯^াধীনতার ৪৪ বছরে সনদ ও ভাতা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন


নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
৭১ এর হাজারো বীর সৈনিকের মধ্যে একজন মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার টানে জীবনকে বাজি রেখে মাত্র ২৩ বৎসর বয়সে অস্ত্র হাতে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধে যোগদান করেন। ভারতের ত্রিপুরায় গকুলনগর মেঘনা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নিয়ে ৩নং সেক্টর কমান্ডার মেজর হাংদারের নেতৃত্বে কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলকে শত্রæমুক্ত করেন। জীবন বাজি রেখে দেশকে শত্রæমুক্ত করলেও ¯^াধীনতার ৪৪ বছরেও সনদ ও ভাতা পাননি এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীন।
¯^াধীনতার পর নরসিংদীর পলাপ উপজেলায় আসেন। পলাশের ঘোড়াশাল পৌরসভার কুটিরপাড়া গ্রামে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বসবার করছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদের দাবিতে আজ বুধবার দুপরে পলাশ উপজেলা সংবাদ সংস্থায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা সনদে ভূল বসত পরিচয়পত্রের জয়নাল আবেদীনের নামের পরিবর্তে ডাক নাম আবদুল বাতেন নাম উঠে আসে। ফলে ভাতা ও সঠিক সনদ পাইনি। এরপর নাম সংশোধনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করলে সেখান থেকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ব্রাক্ষনবাড়িয়ার নবিনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখান থেকে তদন্তে ভূল বসত নাম উাঠার বিষয়টি উল্লেখ করে নির্বাহী কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তিতে মন্ত্রণালয় নতুন করে নাম উঠানোর জন্য আবেদন করতে বলে। কিন্তু আবেদন করার পরও আজ অব্ধি সঠিক সনদ ও ভাতা আমার কপালে জুটেনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমার এখন একটাই চাওয়া মৃত্যুর আগে যেন আমার মুক্তিযোদ্ধার সঠিক সনদটি দেখে যেতে পারি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন