পলাশ প্রতিনিধিঃ
জীবনের সাথে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা ঘোড়াশাল উনমুক্ত স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র প্রতিবন্ধী সবুজের সপ্ন পড়ালেখা করে সরকারী চাকুরি করবে। তাই সে প্রতিবন্ধী হয়েও পলাশ উপজেলার ওয়াপদা এলাকার একটি কম্পিউটার সার্ভিসিং দোকানে কাজ করে, পরিবার ও নিজের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার ছিল তার বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষা। কিন্তু সেই
পরিক্ষা দেওয়া হলনা তার। সকালে সিএনজি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র যাওয়ার পথে পলাশ কটিরপাড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুত্বও আহত হয় সবুজ। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা সাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ঘরে তার বৃদ্ধ মা ও ছোট একটি বোন। পরিবারের এক মাত্র উপর্যান করা সবুজ এখন অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। ঔষুধ খাবার টাকাটি পর্যন্ত নেই পরিবারের কাছে। সরেজমিনে সবুজকে দেখতে গেলে কান্নায় ভেঙে পড়ে সবুজ ও তার মা। প্রতিবন্ধী সবুজের মা জামেনা খাতুন বলেন, ছেলের উর্পাযনে চলত আমাদের সংসার ও ছোট মেয়ের লেখাপড়ার খরচ। কিন্তু র্দুঘটনায় সে আজ বিছানায় পড়ে আছে। হাতে যে টাকা ছিল তা ঔষুধ কিনেই শেষ এখন ছেলের চিকিৎসা করাবো কি করে আর সংসার চলবেই কি করে? এ অবস্থায় আমাদের কোন সহযোগীতা না পেলে আমাদের সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন