![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjdkQl-NHB79RQP5HtusJQ2W81yB7jrdPX1KmDgvzOIN0kFDxnr2kqwcVlY2mo6ZAjociLeDQCTbLGPcPURCLNN7RrnZnRIs9_VK3MnyNOvy0dDb5dlnV1ldZ9LWuYPWdEz8ulkopCseoQ/s1600/palashpc1.jpg)
আল-আমিন মিয়া,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
সংবাদ সংরক্ষণের কাজে অনলাইন নরসিংদীর তাজা খবর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক নূরে-আলম রনী এবং সহ সম্পাদক আল-আমিন মিয়া দুই বন্ধু গত রোববার গিয়েছিলাম নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের রাবান নামক এলাকায়। পড়ন্ত বিকেলে হঠাৎ দেখা পেলাম একটি প্যাঁচা পাখির। পড়ন্ত বিকেলে উড়ে এসে বসেছে একটি সুপারি গাছের ডালে। ঘাড় ঘুরিয়ে,চারদিকে প্রখর দৃষ্টি। খাবার চাই। উড়ন্ত পোকা পেলেই ধরে ফেলবে। হাতে থাকা টর্চের সুইচ অন করে বোঝা গেল, এটি খয়রা শিকড়ে-প্যাঁচা। দেশের বন ও প্রত্যন্ত বৃক্ষবহুল গ্রাম এলাকায় এদের বসবাস। র্দূভাগ্য ক্যামেরায় বন্দি করার আগেই প্যাঁচাটি উড়ে গেল। খয়রা শিকড়ে-প্যাঁচা মসৃণ বাদামি পালকে আবৃত নিশাচর পাখি। পিঠে
বাদামি রঙের পালক আছে। দেহের নিচের অংশের পালকের রং লালচে বাদামি। কপালে একটি সাদা দাগ থাকে। অন্যান্য প্যাঁচার সঙ্গে এটির ব্যতিক্রম হলো, এ প্রজাতির লেজ লম্বা এবং লেজের পালকে চওড়া কালো বাদামি ডোরা থাকে। চোখ উজ্জ্বল-হলুদ,পা ও পায়ের পাতা অনুজ্জ্বল হলুদ বা হলদে সবুজ। পুরুষ ও স্ত্রী পাখির চেহারা দেখতে একই রকম। প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই এরা বেরিয়ে পড়ে। খাবার ও দৈনন্দিন কাজের জন্য এরা পুরো রাতই কর্মব্যস্ত থাকে। তবে প্রকৃতি কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে গেলে ওড়াউড়ি করে। এরা সচরাচর একা বা জোড়ায় বিচরণ করে। রাতে আবাসের চারদিকে শিকার খোঁজে এবং লম্বা নখরের সাহায্য শিকার ধরে খায়। খাদ্যতালিকায় রয়েছে ছোট উড়ন্ত পোকা,ব্যাঙ,টিকটিকি,কাঁকড়া,খুদে বাদুড়,ছোট পাখি,মেঠো ইঁদুর ইত্যাদি। পূর্ণিমার রাতে এরা একনাগাড়ে মনোহর সুরে ডাকে। দিনে ছায়াঢাকা গাছের ডালে ঘুমিয়ে সময় কাটায়। মাঝেমধ্যে অন্য পাখিরা এসে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। মার্চ-জুন মাসে প্রজননের মৌসুমে গাছের কোটরে বাসা বেঁধে ডিম পাড়ে। ডিম সাদা। ২৪ দিনে ডিম ফুটে ছানা বের হয়। স্ত্রী পাখি একাই ডিমে তা দেয়। সে সময় পুরুষ পাখি খাবার সংগ্রহ করে এবং স্ত্রী পাখিকে সরবরাহ করে। মা-বাবা দুজন মিলেই ছানাকে খাওয়ায় এবং লালন-পালন করে থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন