বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬

পলাশে বাড়ছে এলপি গ্যাসের কদর চরম ক্ষোভে এলাকাবাসী


নিজ¯^ প্রতিবেদকঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় গত কয়েক দিনে প্রায় ২০ হাজার বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে করে বাড়ছে এলপি গ্যাসের কদর। অপরদিকে বুক ভরা কষ্ট ও চরম ক্ষোভে  এলাকাবাসীরা। জানা গেছে, তিতাস গ্যাস এর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন নিজ নিজ উদ্যেগে অপসারন করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে সেই কারণে বুক ভরা কষ্ট এবং চরম ক্ষোভ নিয়ে নিজ উদ্যেগেই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে
এলকাবাসীরা। ক্ষোভ রয়েছে এলাকার স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তেমনি এক ক্ষোভের কথা জানা যায়, ঘোড়াশাল পৌরসভার গুচ্ছগ্রামের আরিফ মিয়া, সুমন হোসেন, সুজন আলীসহ আরো কয়েকজন মিলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,  অবৈধ গ্যাস সংযোগ তো দিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা এবং প্রতি গ্যাস সংযোগ দিতে ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। বলেছে যে এক  সময় এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বৈধ করে দিবে কিন্তু এখন দেখি গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য এলাকায় এলাকায় মাইকিং করছে এবং মাইকিং করে বলছে যে নিজ নিজ উদ্যেগে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে ও জরিমানাও করবে। কথাগুলো বলতে বলতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ জানিয়েছে ঐ এলাকার মানুষগুলো। ক্ষোভের সাথে আরো বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ বলেই যত আইন আমাদের উপর যারা টাকা নিয়ে অবৈধভাবে এসব গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন ও সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কোন আইন নেই। তবে এদিকে অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের পর থেকে উপজেলায় বাড়ছে এলপি গ্যাসের কদর। প্রতিদিন মার্কেট গুলোতে বিক্রি হচ্ছে শতশত গ্যাস সিলিন্ডার। জানা যায়, পৌরসভার গুচ্ছগ্রাম, টেকপাড়া, চামরাব, টেংগুও পাড়া, উত্তর চরপাড়া, বাটপাড়া, বাংগাল পাড়া, এছাড়া জিনারদী ইউনিয়ন ও চরসিন্দুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এলাকাবাসী। এদিকে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি পরিদর্শন করতে যান তিতাসের নরসিংদী অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম।  তিতাস কর্তৃপক্ষ জানান, গত কয়েক মাস ধরে অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা ও প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে আসছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপ¶। আইন ঝামেলা এড়াতে নিজেরাই সংযোগ পাইপ, রেগুলেটর ও চুলা সরিয়ে ফেলছে। তিতাসের নরসিংদী জোনের ভারাপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌ: তৌহিদুল ইসলাম জানান, অবৈধ বিতরন লাইন ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য আমরা প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করেছি। আমাদের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কার্যক্রমও চলছে। ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র মো: শরিফুল বলেন, এক শ্রেণীর দালাল চক্রে খপ্পড়ে পড়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়েছিল এলাকার মানুষ। যা দেশের জন্য ¶তি। সরকার এই বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাই কাউন্সিলরদের কে সাথে নিয়ে এলাকার মনুষদের অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে বলেছি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন