শনিবার, ১ জুলাই, ২০১৭

নরসিংদীতে অপহরণের ২ দিন পর ৭ মাসের শিশু উদ্ধার, নারী অপহরণকারী গ্রেফতার


নরসিংদী প্রতিনিধি:
 নরসিংদীতে অপহরণের ২ দিন পর সাবিকুন নাহার তোহা নামে ৭ মাসের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মোসাৎ. ছাবিনা আক্তার (২০) নামে এক নারী অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম)।
অপহৃত শিশু সাবিকুন নাহার তোহা নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে। আর গ্রেপ্তারকৃত ছাবিনা আক্তার শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের রাকিবুল হাসান রানার স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, চৌয়ালা এলাকার আলমগীর হোসেন একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক। তাঁর এক ছেলে এক মেয়ে। কয়েক মাস পূর্বে তাদের বাড়িতে ভাড়া উঠেন তাঁতকল শ্রমিক রাকিবুল হাসান রানা ও তাঁর স্ত্রী ছাবিনা আক্তার। বুধবার বিকালে আলমগীরের স্ত্রী স্মৃতি বেগমের নিকট থেকে ৭ মাসের শিশু তোহাকে কোলে নিয়ে ঘুরতে বের হয় ভাড়াটিয়া ছাবিনা আক্তার। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও ছাবিনা শিশু তোহাকে নিয়ে ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন তাঁদের খোঁজা-খুজি করেন। ওই সময় ভাড়াটিয়াদের রুমের বালিশের নিচে একটি চিরকুট ও একটি নয় সংখ্যার মোবাইল নম্বর দিয়ে যায়। বাকি দুই সংখ্যা বিকাশ করার জন্য দিবে মর্মে লেখা ছিল। পরবর্তীতে
অপহরণকারীরা মোবাইলে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এরই প্রেক্ষিতে অপহৃত শিশুটির পরিবার বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও শিশুটিকে ফেরত দেয়নি অপহরণকারীরা।
এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার অপহৃত শিশুর মা স্মৃতি বেগম বাদী হয়ে ভাড়াটিয়া রাকিবুল হাসান রানা ও তাঁর স্ত্রী মোসা. ছাবিনা আক্তারকে আসামী করে নরসিংদী সদর মডেল থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। শুক্রবার রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার বোর্ডবাজার ডেকেরচালা এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে অপহৃত শিশু তোহাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় এজাহারভুক্ত অপহরণকারী ছাবিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম) বলেন, উদ্ধারকৃত শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারী ছাবিনা আক্তারকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হাসিবুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিউর রহমান, নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন