সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

পলাশে যৌতুকের জন্য অন্তসত্তা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা


পলাশ প্রতিনিধিঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় যৌতুকের জন্য রুমানা আক্তার নামে এক অন্তসত্তা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে লাবন নামে এক পাসন্ড স্বামী। গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ইসলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার সকালে পুলিশ রুমানার লাশ তার স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত রুমানা ছয় মাসের অন্তসত্তা ছিলেন। এছাড়া তার একটি দেড় বছরের মেয়ে সন্তানও রয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনারপর থেকে নিহতের স্বামী লাবন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ৩ বছর পূর্বে ইসলাম পাড়া এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে লাবনের সাথে রুমানার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন
যেতে না যেতে তার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। এরপর থেকে প্রায় সময় যৌতুকের জন্য রুমার উপর তার স্বামী নির্যাতন চালাতো। টাকার জন্য একাধিক বার তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে নারায়নগঞ্জ রুপগঞ্জে তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মেয়ের উপর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তার পিতা পর্যায়ক্রমে লাবনকে সাত লাখ টাকা দেয়। রবিবার রাতে লাবন আবারও রুমানাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার কথা বললে, রুমানা এতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় লাবন তাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করলে ঘটনাস্থানে তার মৃত্যু হয়।
নিহত গৃহবধূ রুমানার পিতা খোরশেদ আলম জানান, মৃত্যুর এক ঘন্টা পূর্বে মেয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে বাবা তুমি সকাল সকাল আমার এখানে আসবে। আমাকে তারা অনেক নির্যাতন করছে। কিন্তু সেই সকাল আর হলো না। একঘন্টা পর মেয়ের স্বামীর বাড়ির পাশের এক লোক আমাকে ফোন করে বলে রুমানা মারা গেছে। তারা আমার মেয়েকে টাকার জন্য মেরে ফেলেছে।
ইসলাম পাড়া এলাকার ইউপি সদস্য কৌশিকুল ইসলাম নয়ন জানান, পর্বেও রুমানাকে তার স্বামী টাকার জন্য মারধর করত। মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থানে উপস্থিত হই এবং পুলিশকে খবর দেই।
পলাশ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের অভিযান চলছে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন