পলাশ প্রতিনিধি :
পলাশে ১১ বছরের শিশু কন্যাকে অব্যহতভাবে ধর্ষণের দায়ে সৎ পিতা মনিরুজ্জামান মনু মিয়াকে (৪৩) বৃহস্পতিবার কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। শিশুটিকে গাজীপুর চাইল্ড সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ১১ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতনের দায়ে পলাশ থানা পুলিশ অভিযুক্ত সৎপিতা মনিরুজ্জামান মনু মিয়াকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার কুটিরপাড়া গ্রাম থেকে আটক করে।
ধর্ষণের দায়ে গত রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান মনুর বিরুদ্ধে পলাশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ভিকটিম নাবালিকা হওয়ায় তার পক্ষে হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির পলাশ শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় আসামির নামে একটি সরকার বাদী মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আমরা শিশুটিকে চাইল্ড সেফ হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
এ বিষয়ে শিশুটি জানায়, আমরা তিন বোন এক ভাই। বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। আমার ভাই দেশের বাড়িতে থাকে। আমি বাড়িতে একা থাকি। এ সুযোগে আমার সৎবাবা প্রতি রাতে আমার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে। আমি এ ঘটনা কাউকে বললে আমার মা মরে যাবে ,আতœহত্যা করবে বলে আমাকে ভয় দেখায়। আমি রাতের পর রাত সৎবাবার যৌন অত্যাচার সইতে না পেরে ঘটনাটি প্রতিবেশী কবির কাকাকে জানাই ।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায় ,নির্যাতিত শিশুটির মা আছিয়া বেগম একজন প্রবাসী। মায়ের অবর্তমানে সে সৎপিতার সঙ্গে বসবাস করে। মনুর পৈর্তিক নিবাস ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া। আছিয়ার প্রথম সংসার ভেঙ্গে গেলে ২ বছর পূর্বে ২ মেয়েসহ সিএনজি চালক মনুর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে হয় । গত এক মাস আগে আছিয়া মেয়েকে সৎ বাবার কাছে রেখে প্রবাসে পাড়ি জমায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন