শনিবার, ১৭ জুন, ২০১৭

ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কে চরম দুর্ভোগ




পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতাঃ
শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতু সংলগ্ন ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। খানাখন্দে ভরা এ সড়কে চলাচলকারীরা সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলাকাবাসী জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কজুড়ে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যানবাহন উল্টে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। গর্তের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। জানা যায়, ব্যস্ততম ঘোড়শাল-পাঁচদোনা এই সড়কটি ঢাকার উত্তরাঞ্চলের সাথে নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট ও চট্র্রগ্রামসহ বিভিন্ন জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য গুরুত্ব বহন করে আসছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়ত করছে যাত্রী ও পণ্যবাহী হাজারো পরিবহন।

এছাড়া সড়কের আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী যাতায়াত করার সময় প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন ধরে চললেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ সমস্যার সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুর ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার পিচ উঠে বিভিন্ন স্থানে বড়বড় গর্তে পরিনত হয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ স্থানে সড়ক দেবে মাটি বের হয়ে গেছে, ফলে অল্প বৃষ্টি হলে কাদায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো সড়কজুড়ে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কোন সংস্কার না হওয়ায় এই র্দুবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী উত্তরা পরিবহনের চালক আমজাদ হোসেন জানান, বিগত কয়েক বছর যাবত ঘোড়াশালের রাস্তার এই অবস্থা। কতৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এই রাস্তাকে অনেকেই মরণের রাস্তা বলে। অপরদিকে নরসিংদীর সামসুল আলম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, সড়কটির বেহাল দশার কারণে ১০ মিনিটের রাস্তা প্রায় ১ঘন্টা সময় পার করতে হয়েছে। এছাড়া রাস্তার অধিকাংশ স্থান ভাঙা থাকায় গাড়ির ঝাকুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়ার অবস্থা হয়েছে।
এদিকে গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কটি একেবারে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়লে কিছুটা নড়েচড়ে বসে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগ। কাঁদা-মাটি ব্যাষ্টিত রাস্তায় ইটা বসিয়ে যান চলাচলে কিছুটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে নরসিংদীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাস্তাটি মেরামতে দরপত্রের কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষে এর কাজ ধরা হবে। আপাতত ইটের সলিং দিয়ে যান চলাচলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন