শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

নরসিংদীতে দীর্ঘ ৭ মাস পর নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের কঙ্কাল উদ্ধার

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ 

নরসিংদীতে সৎ চাচার পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের র্দীঘ ৭ মাস পর ইকবাল হোসেন (১৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের পাচঁ টুকরা কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বিকেলে নরসিংদী মদনগঞ্জ রেললাইনের ৫নং ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্বের বিল থেকে এই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামী কাউসারে স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাধবদী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাথার খুলি ও হাড়  উদ্ধার করেন। মাধবদী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সুবল চন্দ্র পালের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। পুলিশ ও স্বজনেরা জানান,  গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ইকবাল হোসেন আলগী মনোহরপুর শাহিন মিয়া গ্যারেজ থেকে ভাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটো নিয়ে বের হন। সেদিন তার মা-বাবাকে মোবাইলে বলেন রাত ৮টা দিকে বাড়িতে ফিরবেন। এরপর থেকে সে নিখোঁজ রয়েছে।  বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে মাধবদী থানায় একটি জিডি করেন তার পরিবার। পরে পুলিশ তার মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে মাধবদী থানার পুলিশ দক্ষিন শিলমান্দীর হিরন মিয়া ছেলে কাউছার মিয়া (২৪)কে গ্রেফতার করে। কাউসার তার স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন নিহতের সৎ চাচা ওমর ফারুক সহ তিন জন মিলে ইকবালকে হত্যা করে। হত্যার পর কাউসার, নাজমুল খাঁন ও ওমর ফারুক মিলে নিহতের লাশ মদনগঞ্জ ব্রিজের পাশের জমিতে পুতে রাখে। পরে তার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাটি  অন্যত্র বিক্রি করে দেয় । এর পর থেকে চাচা ওমর ফারুক গাঁ ঢাকা দেয়।  সন্দেহের সূত্র ধরে প্রথমে কাউসার ও পরে নজরুল খাঁনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামী ও পরিকল্পানাকারী নিহতের সৎ চাচা কোতালিরচরের মৃত: জাহাদ আলীর ছেলে ওমর ফারুক এখনও পলাতক রয়েছে। র্দীঘ ৭ মাস পর আজ বিকেলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আসামীদের চিহ্নিত করা স্থান বিলের পানির নিচ থেকে ইকবাল হোসেনের কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন মাধবদী থানা পুলিশ। নিহত ইকবাল হোসেন কোতালিচর হোসেন বাজার এর জাকির হোসেনের ছেলে। সে পৌলানপুর ফাজিল মাদ্রাসায় আলীম ১ম বর্ষের ছাত্র এবং লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য পাশাপাশি ভাড়ায় ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালাত। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আমরা মোবাইল কললিস্টের সূত্র ধরে প্রথমে পাঁচদোনা ভাটপাড়া থেকে কাউসারকে গ্রেফতার করি। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামী কাউসার মিয়া আমাদের সামনে স্বীকার করে যে, নিহতের সৎ চাচা ওমর ফারুক, নাজমুল ও কাউসার তিনজন মিলে তাকে হত্যা করে মাটির নিচে পুঁতে রাখেন। র্দীঘ ৭ মাস পর আসামীদের চিহ্নিত স্থান থেকে আজ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন মিলে বিলের পানির নিচ থেকে নিহত  ইকবালের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন