শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৭

পলাশে ২০ হাজার টাকা জামানতের বিনিময়ে এসএসসির ফরম পূরণ


ক্র্ইাম রিপোর্টার ঃ
নরসিংদী পলাশ উপজেলার পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ হাজার টাকা করে জামানতের বিনিময়ে ফরম পুরণ করতে হচ্ছে ২০১৮ সালের এসএসসির অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের। জানা যায়, পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের  কাছ থেকে এসব টাকা আদায়  করছেন শিক্ষকরা। আর এ কারণে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ লক্ষ করা যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে ওই বিদ্যালয়ে এসএসসির ফরম পূরণের কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান,
বিদ্যালয়ের ১৫০ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীর পাশাপাশি ৭ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে ২০ হাজার টাকা করে জামানত দিতে হচ্ছে। আর কেউ অকৃতকার্য হলে এই জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে। মানিক মিয়া নামের এক অভিভাবক জানান, তার ছেলে ওই বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়। এবার ওই বিষয়ে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার কাছে ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হবে বলে জানান। পরে ১০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে আর বাকি ১০ হাজার টাকা পরে দেয়ার আশ^াস দিয়ে পরীক্ষার ফরম পূরণ করা হয়। অপর ৬ অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জামানত নিয়ে ফরম পূরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মানিক মিয়া আরো জানান, একজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য জামনত নেওয়াটা এই প্রথম শুনলাম। এসব বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ে  গিয়ে প্রধান শিক্ষককে না পেয়ে মোবাইলে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের পড়ায় মনোযোগ ও অভিভাবকদের সর্তক করতে জামানত নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষায় পাস করলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে আর ফেল করলে অফেরতযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া জামানত পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মতিতেই নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধান শিক্ষক। এবিষয়ে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি জানান, জামানত নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। জামানত নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কোন প্রকার সুযোগ নেই। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই বিদ্যালয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি ছিল যারা দীর্ঘদিন স্কুলটি সুষ্ঠ্যভাবে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু বর্তমান প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারের খামখেয়ালী ও অবহেলার কারণে একটি নির্বাচিত কমিটি বাতিল হিসেবে গণ্য হয়ে যায়। আর এখন স্কুলে কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষক সেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে যা খুশি তা করে যাচ্ছেন। এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন