বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ঘোড়াশালে মাদকের ছড়াছড়ি” প্রশাসন যেন নিরব দনশক


                                                                      
                                                                    নরসিংদী প্রতিনিধিঃ

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে মাদকের ছড়াছড়ি প্রশাসন যেন কেবল মাত্র নিরব দরশক। ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় চলছে রমরমা মাদক ব্যবসা। পুলিশ প্রশাসন , স্থানীয় রাজনৈক নেতা ও কতিপয় কিছু সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মাদক ব্যবসায়ীরা অহরহ বিক্রি করে আসছে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, বিয়ার , বিদেশী মদ সহ ভংকর কিছু মাদক দ্রব্য।  যার ভয়াবহ ছোবলের শিকার হচ্ছে যুব ও তরুণ সমাজ। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় পলাশে সড়ক পথ, রেলপথ ও নদী পথে মাদকের চালান প্রবেশ করে। ফেনসিডিলের চালান আসে রেলপথে। প্রতি সপ্তাহে একের অধিক চালান খালাস হয় ঘোড়াশাল  রেলষ্টেশনে। নৌ পথে আসে বিদেশী মদ ও বিয়ার। প্রতিদিন ঘোড়াশালের বিভিন্ন স্পটে লাখ লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয়। ইয়াবা পরিবহনে খুব সহজ তাই তরুণ সমাজ এটাকে বেছে নিয়েছে রাতারাতি টাকা কামানোর মন্ত্র হিসেবে। ঘোড়াশাল পৌরসভার ভেতরে জামালপুর গুদারা ঘাট, ভূইয়ার ঘাট, ধলাদিয়া, মুসাবিন কলেজ রোড, ঘোড়াশাল রেলষ্টেশন রোড, টেকপাড়া, মিয়াপাড়া ইয়াবা জোন হিসেবে অধিক পরিচিত। ফেনসিডিল জোন হিসেবে পরিচিত ঘোড়াশাল টোল কাউন্টার, ফুলদিরটেক, টেশপাড়া। ঘোড়াশালে মাদকের রয়েছে একটি শক্ত সিন্ডিকেট। থানা-পুলিশ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সিন্ডিকেটের। এজন্য প্রশাসনকে প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে থাকে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারী মাদক ব্যবসায়ীরা। কখন রেড হবে, কত বোতল ধরা পড়বে, কাকে ধরতে হবে কাকে ছাড়তে হবে তা প্রশাসনের সঙ্গে সমš^য় করে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। একসময় ঘোড়াশাল অঞ্চল জুড়ে মাদকের নেতৃত্ব দিয়ে আসতো মিলন নামে এক মাদক স¤্রাট। মাদকের টাকা ভাগাবাগিকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় মাদক স¤্রাট মিলন। এরপর ঘোড়াশালবাসী কিছুটা সস্তি ভূগ করলেও এর অল্প কিছুদিনের মধ্যে মাথাচারা দিয়ে উঠে মোবারক নামে আরেক মাদক স¤্রাট। নিজের বিটেবাড়ি বন্দক রেখে লক্ষাধিক টাকা নিয়ে মাঠে নামে মোবারক। বেশিদিন জামাতে পারেনি মোবারক। নেতৃত্ব চলে আসে নিহত মিলনের স্ত্রী বুডির হাতে। বর্তমানে বুডির নেতৃত্বে রয়েছে ১০ থেকে ১৫ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। যাদের অধিকাংশই একাধিক মাদক মামলার আসামি। নাম প্রকাশ না করার সত্বে ঘোড়াশালের এক মাদক ব্যবসায়ী জানান, আমাদের ফালু নামে একজন ম্যানেজার আছে তিনি প্রতি মাসে কে কত বিক্রি করছে তার হিসাব রাখে। প্রশাসন সব তারাই ম্যানেজ করে।
এ বিষয়ে মাদকের হিসাব রক্ষক ফালুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রমজান ঈদ পর্যন্ত আমি নিয়ন্ত্রণ করছিলাম। এখন তা পুরোপুরি মিলনের স্ত্রী বুডি নিয়ন্ত্রণ করছে।
এসব বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশ মাদক থেকে টাকা খাচ্ছে এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা। আমরা বারবার অভিযান পরিচালনা করে প্রত্যেকটি মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক সহ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছি। তারা বারবারই জামিনে এসে লুকিয়ে ব্যবসা করে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন