মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

কুলা-ই আয়ের উৎস



 নিজ¯^ প্রতিবেদক ঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার শতাধিক গরিব পরিবারে আয়ের একমাত্র উৎস হচ্ছে কুলা । ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে সংসারের সকল আয়ই আসে এই কুলার মধ্যে দিয়ে। প্রশিক্ষণ নয় পূর্ব পুরুষের করে যাওয়া রেওয়াজ থেকেই বছরের পর বছর নিখুত ভাবে তৈরি করে যাচ্ছে এসব কুলা। সংসারের কাজের ফাঁকে যখনই সময় পাচ্ছে তখনই সময় ব্যয় করছে কুলা তৈরি কাজে। বাড়ির
বউ-ঝি থেকে শুরু করে বৃদ্ধা পর্যন্ত সময় দিচ্ছে এ কাজে। বাঁশের তৈরি এসব কুলা হাট বাজারে বিক্রি করে সংসারের জাবতীয় খরচ বহন করছে তারা। গৃহকর্তা বেপারীদের কাছ থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে তা শলা করে দিচ্ছে আর সেই শলা দিয়ে নিখুত ভাবে গৃহিণীরা তৈরি করে যাচ্ছে বাঁশের কুলা। সরেজমিনে চরপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গৃহিণীরা কুলা তৈরিতে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছে। কথা হয় সূচিত্রা রায় নামে এক গৃহিণীর সাথে তিনি জানান, বং¯^ানুক্রমায় এই কাজ করা। এলাকার শতাধিক পরিবার এ পেষায় জড়িত। দিনের ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় দিতে হয় কুলা তৈরির কাজে। ছেলে-মেয়েদের মানুষ করা থেকে সংসারের জাবতীয় সব খরচ এই কুলা বিক্রির মধ্যে দিয়ে আসে। তিনি আরো জানান, একটি বড় আঁকারের বাঁশ থেকে ৪০টি কুলা তৈরি করা যায়। আর ৪০টি কুলা তৈরি করতে ৪ থেকে ৫দিন সময় লাগে। এরপর একসাথে সবগুলো জমিয়ে তা হাটবাজারে বিক্রি করা হয়। প্রতিটি কুলা বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। সপ্তাহ শেষে প্রায় ৩ হাজার টাকার মত উর্পাযন হয় এক একটি পরিবারের। চৈত্র মাসের সময় কুলা বেপারীরা এলাকায় এসে বাড়ি বাড়ি কুলা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তখন একটু বেশি দাম পাওয়া যায়। এছাড়া বছরের বাকি সময় হাট বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে হয়।
জিনারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহি কুলা এ অঞ্চলের শতাধিক পরিবার ধরে রেখেছে। সরকার থেকে কারিগরি প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগিতা পেলে শুধু কুলা নয় বাঁশের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে আরো ভালো ভূমিকা রাখবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন