জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
বেলায়েত হোসেন, আল আমিনের বাবা ফজলুল হক মারা যাওয়ার কয়েক মাসের মাথায় তারা দুই ভাই তাদের মা কুসুম আক্তারের উপর নির্যাতন চালায়। তারা তার মাকে ঠিকমত ভরণ পোষন করতো না। তাদের বাবা মারা যাওয়ার কয়েক মাসের মাথায় তার মা আমাদের কাছে ছেলেদের নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আসে। তারা দুই ভাই তার মাকে ঠিকমত ভরণ পোষন দিতনা বলেও তিনি অভিযোগ করেন। কথা গুলো বলেন ঘোড়াশাল পৌরসভার ৩ নং ওর্য়াডের সাবেক কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, সেই সময় পলাশ বাজারের ব্যবসায়ী বাচ্চু ভাইকে নিয়ে দরবারে বসে তাদের মা ছেলেদের
সামনে প্রতিমাসে দুই ভাইকে তিন হাজার করে ছয় হাজার টাকা তাদের মাকে দেওয়া কথা বলি। কিন্তু তারা সেই কথা মতো টাকা দেয়নি। তাদের মধ্যে এক ভাই আড়াই হাজার টাকা করে দুই মাস দিয়েছিল। পরে সে ভাইও টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা আমাদের দরবারের কোন মূল্যই দেয়নি।
এদিকে বেলায়েত ও আল আমিনের মা কুসুম আক্তার বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার কয়েক মাসের মাথায় তারা দুই ভাই আমার ভরণ পোষন বন্ধ করে আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। আমি অনেকের কাছে ছেলেদের নির্যাতন বন্ধে সহযোগীতা চেয়েছিলাম। কিন্তু কেও আমাকে সহযোগীতা করেনি। তারা কারো কথা শুনেনি। বরং দিন দিন বেলায়েত ও আল আমিন আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বারিয়ে তুলে। তারা পলাশ বাজারের তিনটি বড় বড় কাপড়ের দোকানের ব্যবসা করে। অথচ তার একমাত্র বোনকে বিয়ে দেওয়ার সময় একটি টাকাও নিজের থেকে খরচ করেনি। বিয়ের সময় আমার গহনা বন্ধক রেখে তারা তাদের বোনের বিয়ের খরচ দেয়। তারা আজো সেই গহনা ফেরত এনে দেয়নি। এতদিন আমি অনেক ধর্য্যকষ্ঠের মধ্যে তাদের নির্যাতন সহ্য করে আসছিলাম। কিন্তু আমি আর নিজেকে সন্তানের মায়ার জালে বেধেঁ রাখতে না পেরে আইনের আশ্রয় নেই। আজ আমার ছেলেদের এই অধপতনের কারণ হচ্ছে তাদের বউ ও তাদের শশুড় বাড়ির লোকজন। তারা মায়ের ভুক থেকে সন্তানদের আলাদা করে দিয়েছে। ছেলেদের শশুড় বাড়ির লোকজন এমনও বলেছে যে তারা তাদের মেয়ে জামাইদের আদালত থেকে জামিন করে এনে ছেলেদের দিয়ে আমাকে ও আমার মেয়েকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন