নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য চার একর জমি কিনে হয়রানির শিকারে পড়েছেন দেশের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইজি ফ্যাশন হাউজ। প্রতিষ্ঠানটির ক্রয়কৃত সম্পত্তির দাতা গনের উত্তরাধিকার সনদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের একমাস পর তা জালিয়াতি হয়েছে বলে একটি ভুয়া অভিযোগ দায়ের করেন ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান (৪ নং ইউপি সদস্য) মো: জালাল উদ্দিন। গত ১৭ এপ্রিল তিনি পলাশ থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয় ইজি ফ্যাশন মালিক আসাদ চৌধুরী, তার দুই ভাই ইসহাক চৌধুরী ও তৌহিদ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটিতে জমি বিক্রেতা ১০ জনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ১৪ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাবের উল হাই দেশের বাহিরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকেন ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন। সেই সময় ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামে মৃত মহেন্দ্র চন্দ্র মিত্রের ছেলে মৃণাল মিত্র তাদের পৈতিক সম্পত্তি বিক্রির জন্য উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী তাদের উত্তরাধিকার সনদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত ছয়টি সনদ প্রদান করেন। পরবর্তিত্বে স্বাক্ষরের এক মাসপর তিনি স্বাক্ষরটি জাল বলে জমির ক্রেতা ইজি ফ্যাশনের মালিকসহ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে হয়রানিতে পড়তে হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের।
ইজি ফ্যাশন হাউজের চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী জানান, আমরা নতুন ফ্যাক্টুরির জন্য ওই স্থানে সঠিক মালিকদের কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়ে চারটি দলিলের মাধ্যমে চার একর জমি ক্রয় করি। জমিগুলোর মধ্যে কিছু জমি পৈতিক সম্পত্তি হওয়ায় দাতা গন তাদের উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ছয়টি সনদ গ্রহণ করেন। সে সময় চেয়ারম্যান তাদেরকে প্রকৃত মালিক উল্লেখ করে সনদগুলো প্রদান করে। কিন্তু তিনি হঠাৎ কি কারণে জমি বিক্রির একমাস পর সনদে স্বাক্ষর জালিয়াতির একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ও জমি দাতাদেরকে হয়রানি করছেন তা বুঝতে পরছি না। মামলায় তিনি আমাদের তিন ভাই ছাড়াও যারা ক্রয়কৃত সম্পত্তি বিক্রি করেছেন তাদের নামেও সনদ জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অথচ তাদের মধ্যে কারো উত্তরাধিকার সনদের প্রয়োজনই নেই।
এদিকে সনদ জালিয়াতির অভিযুক্ত মৃণাল মিত্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা তিন ভাই সম্পত্তির মালিক হই। আমার দুই ভাই শীতল মিত্র ও গকুল মিত্র মারা গেলে ভাইয়ের সম্পত্তির মালিক তাদের সন্তানরা হয়। আমাদের পৈতিক সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ বিক্রি করার জন্য গত ১৩ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদে উত্তরাধিকার সনদের জন্য ছয়টি আবেদন পত্র সংগ্রহ করি। পরে স্থানীয় ১,২,৩ এর সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফজিলা আক্তারের প্রত্যয়ন স্বাক্ষরসহ ফরমটি পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেই। এরপর তারা আমাদের ছয়টি সনদের জন্য ৫০০ টাকার একটি রশিদ দেয়। পরে ১৯ মার্চ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত সনদ গুলো জালাল মেম্বার আমাদের প্রদান করেন। এরপর আমরা জমি গুলো ইজি ফ্যাশনের কাছে বিক্রি করি। অথচ বিক্রির এক মাস পর জানতে পারি উত্তরাধিকার সনদের মধ্যে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেনি। আমরা নাকি স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা তো কোন উত্তরাধিকারকে সনদ থেকে বাদ দেইনি। তবে কেন জালিয়াতি করতে যাব। মেম্বার নিজেই আমাদের সনদ দিয়ে এখন সনদ জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
অপরদিকে লালন মিত্র ও নয়ন কুমার জানান, আমাদের কিনা সম্পত্তি আমরা বিক্রি করেছি। এখানে উত্তরাধিকার সনদের কোন প্রয়োজন নেই। এর জন্য আমরা আবেদনও করিনি। অথচ মেম্বার আমাদের নামেও উত্তরাধিকার সনদে স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা করেছেন।
সনদ আবেদনের বিষয়ে ডাঙ্গা ইউনিয়ন সচিব মানিক মিয়া জানান, উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে মৃণাল মিত্রের পরিবার থেকে আবেদন করা হয়। আবেদন পত্রে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরসহ অন্যান তথ্য যাচাই করে ইউনিয়নের তথ্য কেন্দ্র লিপিবদ্ধ করা হয়। পরে রশিদ কেটে আবেদন ছয়টির সনদ তৈরি করে তা চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া হয়। এখানে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
এসব বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে আবেদন করা হলেও সনদে আমি স্বাক্ষর করিনি। জমির মালিক সঠিক কিন্তু তারা আমার স্বাক্ষর জাল করে সনদ তৈরি করে। যার কারণে মামলা করা হয়। যাদের সনদ লাগেনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন প্রকার কথা বলতে চায়নি। এছাড়া মামলায় ইজি ফ্যাশনের মালিকগনের নাম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দিক থেকে অনেক চাপ আসে তা বুঝবেন না।
এব্যাপারে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, মামলাটির তদন্তকাজ চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য চার একর জমি কিনে হয়রানির শিকারে পড়েছেন দেশের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ইজি ফ্যাশন হাউজ। প্রতিষ্ঠানটির ক্রয়কৃত সম্পত্তির দাতা গনের উত্তরাধিকার সনদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের একমাস পর তা জালিয়াতি হয়েছে বলে একটি ভুয়া অভিযোগ দায়ের করেন ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান (৪ নং ইউপি সদস্য) মো: জালাল উদ্দিন। গত ১৭ এপ্রিল তিনি পলাশ থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। এতে আসামী করা হয় ইজি ফ্যাশন মালিক আসাদ চৌধুরী, তার দুই ভাই ইসহাক চৌধুরী ও তৌহিদ চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠানটিতে জমি বিক্রেতা ১০ জনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ১৪ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান সাবের উল হাই দেশের বাহিরে থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকেন ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন। সেই সময় ইউনিয়নের ভিরিন্দা গ্রামে মৃত মহেন্দ্র চন্দ্র মিত্রের ছেলে মৃণাল মিত্র তাদের পৈতিক সম্পত্তি বিক্রির জন্য উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী তাদের উত্তরাধিকার সনদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত ছয়টি সনদ প্রদান করেন। পরবর্তিত্বে স্বাক্ষরের এক মাসপর তিনি স্বাক্ষরটি জাল বলে জমির ক্রেতা ইজি ফ্যাশনের মালিকসহ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে হয়রানিতে পড়তে হয় প্রতিষ্ঠানটির মালিকদের।
ইজি ফ্যাশন হাউজের চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরী জানান, আমরা নতুন ফ্যাক্টুরির জন্য ওই স্থানে সঠিক মালিকদের কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়ে চারটি দলিলের মাধ্যমে চার একর জমি ক্রয় করি। জমিগুলোর মধ্যে কিছু জমি পৈতিক সম্পত্তি হওয়ায় দাতা গন তাদের উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ছয়টি সনদ গ্রহণ করেন। সে সময় চেয়ারম্যান তাদেরকে প্রকৃত মালিক উল্লেখ করে সনদগুলো প্রদান করে। কিন্তু তিনি হঠাৎ কি কারণে জমি বিক্রির একমাস পর সনদে স্বাক্ষর জালিয়াতির একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের ও জমি দাতাদেরকে হয়রানি করছেন তা বুঝতে পরছি না। মামলায় তিনি আমাদের তিন ভাই ছাড়াও যারা ক্রয়কৃত সম্পত্তি বিক্রি করেছেন তাদের নামেও সনদ জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অথচ তাদের মধ্যে কারো উত্তরাধিকার সনদের প্রয়োজনই নেই।
এদিকে সনদ জালিয়াতির অভিযুক্ত মৃণাল মিত্রের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা তিন ভাই সম্পত্তির মালিক হই। আমার দুই ভাই শীতল মিত্র ও গকুল মিত্র মারা গেলে ভাইয়ের সম্পত্তির মালিক তাদের সন্তানরা হয়। আমাদের পৈতিক সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ বিক্রি করার জন্য গত ১৩ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদে উত্তরাধিকার সনদের জন্য ছয়টি আবেদন পত্র সংগ্রহ করি। পরে স্থানীয় ১,২,৩ এর সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ফজিলা আক্তারের প্রত্যয়ন স্বাক্ষরসহ ফরমটি পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেই। এরপর তারা আমাদের ছয়টি সনদের জন্য ৫০০ টাকার একটি রশিদ দেয়। পরে ১৯ মার্চ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত সনদ গুলো জালাল মেম্বার আমাদের প্রদান করেন। এরপর আমরা জমি গুলো ইজি ফ্যাশনের কাছে বিক্রি করি। অথচ বিক্রির এক মাস পর জানতে পারি উত্তরাধিকার সনদের মধ্যে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেনি। আমরা নাকি স্বাক্ষর জালিয়াতি করেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা তো কোন উত্তরাধিকারকে সনদ থেকে বাদ দেইনি। তবে কেন জালিয়াতি করতে যাব। মেম্বার নিজেই আমাদের সনদ দিয়ে এখন সনদ জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
অপরদিকে লালন মিত্র ও নয়ন কুমার জানান, আমাদের কিনা সম্পত্তি আমরা বিক্রি করেছি। এখানে উত্তরাধিকার সনদের কোন প্রয়োজন নেই। এর জন্য আমরা আবেদনও করিনি। অথচ মেম্বার আমাদের নামেও উত্তরাধিকার সনদে স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা করেছেন।
সনদ আবেদনের বিষয়ে ডাঙ্গা ইউনিয়ন সচিব মানিক মিয়া জানান, উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে মৃণাল মিত্রের পরিবার থেকে আবেদন করা হয়। আবেদন পত্রে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরসহ অন্যান তথ্য যাচাই করে ইউনিয়নের তথ্য কেন্দ্র লিপিবদ্ধ করা হয়। পরে রশিদ কেটে আবেদন ছয়টির সনদ তৈরি করে তা চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া হয়। এখানে চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
এসব বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, উত্তরাধিকার সনদ চেয়ে আবেদন করা হলেও সনদে আমি স্বাক্ষর করিনি। জমির মালিক সঠিক কিন্তু তারা আমার স্বাক্ষর জাল করে সনদ তৈরি করে। যার কারণে মামলা করা হয়। যাদের সনদ লাগেনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন প্রকার কথা বলতে চায়নি। এছাড়া মামলায় ইজি ফ্যাশনের মালিকগনের নাম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দিক থেকে অনেক চাপ আসে তা বুঝবেন না।
এব্যাপারে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, মামলাটির তদন্তকাজ চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন