শনিবার রাতে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ফারুক মিয়া উপজেলার দড়িহাওলা পাড়া গ্রামের ফালু মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার বিকেলে নিহত ওই গৃহবধূর ময়না তদন্তের রিপোর্ট
পুলিশের কাছে আসলে গলা টিপে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পুলিশ তার স্বামীকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মীর সোহেল রানা জানান, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর দড়িহাওয়াপাড়া নামক গ্রামের অটোরিক্সা চালক ফারুক মিয়ার বসতঘর থেকে তার স্ত্রী পারভিন আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পারভিনের স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। শনিবার নিহত ওই গৃহবধূর ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে গলা টিপে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তার স্বামী ফারুক মিয়াকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক মিয়া জানান জুয়া খেলার প্রতিবাদ করার ঘটনায় ওই রাতে তার স্ত্রী পারভিনকে মারধোর করার এক পর্যায়ে গলাটিপে ধরে। এতে তার শ^াস বন্ধ হয়ে মারা গেলে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ ঘরের আড়ের সাথে ঝুঁলিয়ে রাখে।
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, নিহত ওই গৃহবধূ পারভিন আক্তারের পক্ষে পুলিশ বাদী হয়ে ফারুক মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলায় ফারুক মিয়াকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন