উপজেলা শিক্ষ অফিসার ও ম্যানেজিং বোর্ডকে পরোয়া করছে না নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। বিদ্যালয়ের নুসরাত জাহান আয়শা নামে জেএসসি পাশ ছাত্রীর প্রশংসা
পত্র চেয়ে আবেদন করার পর হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শনিবার ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি আবেদন করলে তাকে প্রশংসা পত্র না দিয়ে উল্টো হয়রানী করে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। শিক্ষার্থীর মা রহিমা বেগম জানান, আমার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে। বিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে উত্তীর্ণ হয়েছে। পারিবারিক সমস্যার কারণে আমাদের সবাইকে সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে হচ্ছে। সেখানের এক স্কুলে মেয়েকে ৯ ম শ্রেণীতে ভর্তি করার জন্য এই বিদ্যালয়ের একটি প্রশংসা পত্র চেয়ে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা প্রশংসা পত্র না দিয়ে উল্টো ১৩৫০ টাকার বিনীময়ে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার কথা বলে। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের জানিয়েও কোন সহযোগীতা পাইনি।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আনু জানান, বিষয়টি আমি জানার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষককে প্রশংসা পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালে তিনি মেয়েটিকে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ছাড়পত্র নেওয়া কথা বলে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, অষ্টম শ্রেণী উত্তির্ণদের জন্য আমাদের কোন প্রশংসা পত্র নেই। একমাত্র ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ছাড়পত্রের মাধ্যমে সে অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলমগীর হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ৮ম শ্রেণী থেকে অন্য স্কুলে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হতে গেলে কোন ছাড়পত্র লাগে না । স্কুল তাকে প্রশংসা পত্র দিতে পারে।