পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে
প্রাথমিকে ভর্তি-বাণিজ্য। বিদ্যালয়টিতে ডোনেশনের নামে প্রথম শ্রেণির
শিক্ষার্থী ভর্তি বাবদ ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে। এসব টাকা সরাসরি আদায় করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং
বোর্ডের সদস্যরা। ডোনেশনের ৬০ ভাগ টাকা ব্যাংক রসিদের মাধ্যমে জমা হলেও
বাকি টাকা শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হচ্ছে বলে অভিযোগ
রয়েছে।
এদিকে, এই ভর্তি-বাণিজ্যের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। এতে
বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান দিন দিন নিম্নগামী হয়ে পড়ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।
১৯৭০ সালে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শতভাগ পাসসহ বিদ্যালয়টিতে পড়াশোনার মান ছিল খুবই ভালো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে জিপিএ ৫সহ পাসের হার অনেকাংশে কমে আসে। এই ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ভর্তি-বাণিজ্যকেই দায়ী করছেন পিডিবির অধিকাংশ চাকরিজীবী। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং বোর্ড বহিরাগত শিক্ষার্থীদের ভর্তির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
কমিটির লোকজন অধিক লাভের আশায় পিডিবির অভ্যন্তরের শিক্ষার্থীদের ভর্তির পরিমাণ কমিয়ে বহিরাগতদের প্রতি বেশি নজর দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে তারা। পলাশ নতুন বাজার এলাকার মাহাবুবুর রহমান নামের এক অভিভাবক জানান, তার ছোট মেয়েকে পিডিবির স্কুলে প্রথম শ্র্রেণিতে ভর্তির জন্য গেলে বিদ্যালয় থেকে ডোনেশন বাবদ ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। অনেক সুপারিশের পর মেয়েকে ১৩ হাজার ৬০০ টাকায় ভর্তি করেন। এদিকে, এক শিক্ষার্থীকে ভর্তির বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফারুক মিয়ার সঙ্গে কথা বললে প্রথমে তিনি ভর্তির সময় শেষ বলে জানালেও একপর্যায়ে ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে ভর্তি করে দেওয়ার কথা জানান। এ সময় তিনি জানান, ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংকে জমা নেওয়া হবে, বাকি টাকা নেতাদের পেছনে খরচ হবে। তিনি আরও বলেন, রাতে টাকা দিলে সকালেই শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারবে।
ভর্তি-বাণিজ্যের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলীর অনুমতিবিহীন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং ৫ ও ৬ ইউনিটের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। এসব অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হয়।
এদিকে, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মুঞ্জুরুল আলম দিলু জানান, স্কুলের বিষয় নিয়ে কথা বলা আমার দায়িত্ব নয়। এটা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতির দায়িত্ব।
পলাশের ইউএনও ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি জানান, ডোনেশন নিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ ডোনেশন আদায় করে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এই ভর্তি-বাণিজ্যের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে উদাসীনতা দেখা দিয়েছে। এতে
বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মান দিন দিন নিম্নগামী হয়ে পড়ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।
১৯৭০ সালে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুবিধার জন্য প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শতভাগ পাসসহ বিদ্যালয়টিতে পড়াশোনার মান ছিল খুবই ভালো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে জিপিএ ৫সহ পাসের হার অনেকাংশে কমে আসে। এই ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ভর্তি-বাণিজ্যকেই দায়ী করছেন পিডিবির অধিকাংশ চাকরিজীবী। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং বোর্ড বহিরাগত শিক্ষার্থীদের ভর্তির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
কমিটির লোকজন অধিক লাভের আশায় পিডিবির অভ্যন্তরের শিক্ষার্থীদের ভর্তির পরিমাণ কমিয়ে বহিরাগতদের প্রতি বেশি নজর দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে তারা। পলাশ নতুন বাজার এলাকার মাহাবুবুর রহমান নামের এক অভিভাবক জানান, তার ছোট মেয়েকে পিডিবির স্কুলে প্রথম শ্র্রেণিতে ভর্তির জন্য গেলে বিদ্যালয় থেকে ডোনেশন বাবদ ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। অনেক সুপারিশের পর মেয়েকে ১৩ হাজার ৬০০ টাকায় ভর্তি করেন। এদিকে, এক শিক্ষার্থীকে ভর্তির বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফারুক মিয়ার সঙ্গে কথা বললে প্রথমে তিনি ভর্তির সময় শেষ বলে জানালেও একপর্যায়ে ২২ হাজার টাকার বিনিময়ে ভর্তি করে দেওয়ার কথা জানান। এ সময় তিনি জানান, ১৪ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংকে জমা নেওয়া হবে, বাকি টাকা নেতাদের পেছনে খরচ হবে। তিনি আরও বলেন, রাতে টাকা দিলে সকালেই শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারবে।
ভর্তি-বাণিজ্যের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলীর অনুমতিবিহীন কোনো কথা বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং ৫ ও ৬ ইউনিটের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। এসব অর্থ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করা হয়।
এদিকে, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মুঞ্জুরুল আলম দিলু জানান, স্কুলের বিষয় নিয়ে কথা বলা আমার দায়িত্ব নয়। এটা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতির দায়িত্ব।
পলাশের ইউএনও ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি জানান, ডোনেশন নিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই। যদি কোনো বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ ডোনেশন আদায় করে, তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন