মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

বিএফএ পরিচালক তুষারের দেখানো পথে পলাশে ১ হাজার নারী পুরুষের ভাগ্য বদল



                                                           আল-আমিন মিয়া,নিজ¯^ প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের পরিচালক বিশিষ্ট সমাজ সেবক আল-মুজাহিদ হোসেন তুষারের একান্ত সহযোগিতায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার প্রায় এক হাজার অসহায় নারী পুরুষের ভাগ্য বদল হয়েছে। নুন আনতে পানতা ফুরায়, এমন হতদরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দাঁড়িয়েছেন তুষার। ৫ শতাধিক নারী খুঁজে পেয়েছেন অভাবকে জয় করার পথ। এবং তুষার এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে উপজেলার ৫ শতাধিক বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। ফ্রি সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ উপজেলার ৫শতাধিক নারীরা ¯^াবলম্বী হয়েছে। সুলতানা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কলেজছাত্রী আসমা,সুমী,পারুল ও বিধবা মহিলা মোমেনা খাতুন জানান, ¯^ামী মারা যাওয়ার পর হতদরিদ্র সংসারে আরো বেশি দরিদ্রতার মুখোমুখি হতে হয় মোমেনাকে। তবুও দারিদ্রতার কাছে হার না মেনে সংসারে সচ্ছলতা আনতে নেমেছিলেন জীবনযুদ্ধে। এমন কঠিন সময়ে শুনতে পারেন ফ্রি সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কথা। এবং যোগাযোগ করেন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে আজ মোমেনা খাতুন ¯^াবলম্বী। চরসিন্দুরের ¯^ামীপরিত্যক্তা শাহানাজ ও সুমী আক্তার জানান, ¯^ামী মারা যাওয়ার পর জীবন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষণ তাদের নতুন করে বাঁচার পথ দেখিয়েছে। ২০১২ সালে ৯ ফের্রুয়ারি মাত্র ১৫ শিক্ষার্থী নিয়ে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নে সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণের যাত্রা শুরু হয় বলে জানান এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার। তিনি বলেন, আমি এবং আমার মা নিগার সুলতানা শিক্ষিত বেকার ছাত্রী, হতদরিদ্র ও বিধবা মহিলাদের কীভাবে ¯^াবলম্বী করা যায়, এ চিন্ত করে ফ্রি সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলি। আমাদের নিজ অর্থায়নে প্রশিক্ষণ দিয়ে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক নারীর অলস হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করেছি। উপজেলার চরসিন্দুর, গজারিয়া ইউনিয়নে আমরা এ কার্যক্রম শেষ করে বর্তমানে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বালুচর পাড়ায় কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রতিটি ব্যাচে ৩০ থেকে ৩৫ শিক্ষার্থীকে ৩ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এজন্য ছয় প্রশিক্ষক নিয়োগ দিয়েছি। এছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে কয়েকটি ব্যাচে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণার্থীকে সেলাই মেশিন উপহার দিয়েছি। এবং উপজেলার বেকার যুবকদের জন্য কিছু করার চিন্তা ছিল পুর্বেই। তাই বেকার যুবকদের কর্মের হাত করতে তুষার এন্টারপ্রাইজ এর মাধ্যমে ৫ শতাধিক যুবকদের কর্ম সংস্থার ব্যবস্থা করেছি। তুষার এন্টারপ্রাইজে চাকরিজীবী গড়পাড়ার সোহেল, সুমন, আরিফ মিয়া জানান, বেকার জীবনটা খুব কষ্টের ছিল। তুষার এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে আমরা আজ ¯^াবলম্বী হয়েছি। তুষার এন্টারপ্রাইজে চাকরি করে প্রতি মাসে এক একজন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে পাছি। শুধু সুলতানা সেলাই প্রশিক্ষণ আর তুষার এন্টারপ্রাইজই নয়, তুষারের নিজ অর্থায়নের উন্নয়নের ছুয়া রয়েছে উপজেলার গড়পাড়ায়, চরসিন্দুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেওড়া গ্রামে এবং উপজেলার বাদামতলি এলাকায়। বাদামতলি এলাকার শতাধিক পরিবারের দুর্ভোগ দূর করেছেন তিনি। বৃষ্টি হলে বা জলাশয় হলে চলাচলের জন্য দুর্ভোগে পরত ঐ এলাকার মানুষজন। নৌকা বা ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হতো তাদের। এমন অবস্থায় শতাধিক পরিবারের আলো হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে তুষার। কথা হয় বাদামতলি এলাকার আবদুল কাইয়ূম মোল্লার সাথে তিনি জানান, দীর্ঘদিন যাবত আমরা রাস্তার জন্য দুর্ভোগে ছিলাম। অনেক জায়গায় গিয়েছি রাস্তার জন্য কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরে তুষার ভাইয়ের কাছে আমাদের এলাকার সবাই মিলে রাস্তার বিষয়টি জানালে তিনি নিজ অর্থায়নে দেঁড় কেলোমিটার রাস্তা করে দেন। এছাড়াও গড়পাড়ায় নিজ অর্থায়নে ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা করেছেন এবং দক্ষিণ দেওড়া গ্রামের জামে মসজিদ পাকা করেছেন তিনি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন